বুম বুম আফ্রিদি এমনিই এমনিই তার নাম হয়নি। ড্যাশিং অলরাউন্ডারও শুধু শুধু বলা হয় না শহিদ খান আফ্রিদিকে। কেন তিনি এখনও, এই বয়সে টি২০ ক্রিকেটের অন্যতম আকর্ষণীয় এক নাম, তা বিপিএলে খেলতে এসেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন এই পাকিস্তানি পাঠান। চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে খেলতে নেমেই ঝড় তুললেন বুম বুম আফ্রিদি। ২২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকতে শুরু করে সিলেট সুপার স্টারস, তখনই মাঠে নামেন আফ্রিদি। ওই সময় খেলা চলছিল পঞ্চম ওভারের। আরব আমিরাতের মাটিতে যেভাবে নাস্তানাবুধ হয়েছে পাকিস্তান, তাতে বিপিএলে তিনি কতটা উজ্জ্বল হবেন, সেটাই ছিল চিন্তার বিষয়। কিন্তু স্বদেশি মোহাম্মদ আমিরকে মোকাবেলা করার মধ্য দিয়ে ইনিংসের শুরু তার। পরের ওভারে তাসকিনকে পাঠালেন প্রথম বাউন্ডারির বাইরে। শফিউলকে মারলেন ছক্কা। ঝড়ের শুরু তখনই। এরপরই আফ্রিদির ডানায় উড়তে শুরু করে সিলেট সুপার স্টারস। ১৪তম ওভারেই দলীয় স্কোর শতরানের গণ্ডি পার করিয়ে দেন আফ্রিদি। ৩৩ বলের ঝড়ে নিজে পৌঁছে যান হাফ সেঞ্চুরির মাইলফলকে। ৪টি বাউন্ডারি আর ৩টি ছক্কায় সাজালেন হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস। সবচেয়ে বেশি পেটালেন শফিউল ইসলামকে। এরপর আসিফ হাসানকে।তবে বাংলাদেশি কোন বোলার নয়, স্বদেশি মোহাম্মদ আমিরের বলেই শেষ পর্যন্ত উইকেট হারালেন পাকিস্তানের এই ড্যাশিং অলরাউন্ডার। ১৮তম ওভারের প্রথম বলেই আফ্রিদিকে বোল্ড করে চিটাগাংকে উল্লাসে ভাসান মোহাম্মদ আমির। আউট হওয়ার আগে ৪১ বলে ৫টি বাউন্ডারি আর ৪টি ছক্কায় তিনি করেন ৬২ রান। দলীয় রান তখন ১২৫।আইএইচএস/এমএস
Advertisement