শিরোপা তো আগেই হারিয়েছে। কিন্তু ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসের সামনে বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছিল আগামী চ্যাম্পিয়ন্স লিগ তারা সরাসরি খেলতে পারবে কি না। সেরা চারটি দলের একটি না হলে তো সেটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
Advertisement
সেই সমীকরণ জারি ছিল লিগের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত। শিরোপা লড়াই না হলেও জুভেন্টাসের কাছে বোলোনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল তাই ফাইনালের চেয়েও বেশি কিছু। আর এমন ম্যাচেই কি না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে পুরোপুরি সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রাখলেন কোচ আন্দ্রে পিরলো।
তবে রোনালদোকে বসিয়ে রাখলেও জয় পেতে কোনো সমস্যা হয়নি জুভদের। বোলোনিয়াকে তাদের মাঠেই ৪-১ গোলে হারিয়ে এসেছে আন্দ্রে পিরলোর দল।
যদিও নিজেদের জয়ের পাশাপাশি তাদেরকে তাকিয়ে থাকতে হয়েছে অন্য ম্যাচের ফলের দিকেও। ন্যাপোলিকে ১-১ গোলে থমকে দিয়েছে হেলাস ভেরোনা। তাতেই কপাল খুলে যায় জুভদের। চতুর্থ স্থানে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিশ্চিত হলো তাদের।
Advertisement
মূলতঃ ন্যাপোলিই সৌভাগ্য এনে দিয়েছে জুভেন্টাসকে। ঘরের মাঠে তারা যদি ড্র না করতো, জয় তুলে নিতে পারতো, তাহলে তারাই উঠতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে, জুভরা চলে যেতো ইউরোপা লিগে।
ন্যাপোলিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে উঠাতে না পারার দায়ে এরই মধ্যে কোচ জেন্নেরো গাত্তুসোকে বরখাস্ত করেছে ক্লাবটি। ৩৮ ম্যাচে জুভেন্টাসের পয়েন্ট ৭৮। ন্যাপোলির পয়েন্ট ৭৭। চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মিলানের পয়েন্ট ৯১, দ্বিতীয় স্থানে থাকা এসি মিলানের পয়েন্ট ৭৯ এবং তৃতীয় স্থানে থাকা আটলান্টার পয়েন্টও ৭৮। জুভেন্টাসের সঙ্গে গোল ব্যবধানে এগিয়ে তারা।
বোলোনিয়ার বিপক্ষে জুভেন্টাসের একাদশ দেখে সবাই অবাক। রোনালদোকে বসিয়ে রাখা হলো সাইড বেঞ্চে! এমনকি পুরো ম্যাচে মাঠেই নামানো হলো না তাকে। বিখ্যাত ইতালিয়ান সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানোর টুইট, রোনালদোকে না নামানোর কারণটি পুরোপুরিই ‘কৌশলগত।’ পর্তুগিজ যুবরাজের কোনো চোট ছিল না।
তবে রোনালদো না খেললেও আটকে রাখা যায়নি জুভদের। প্রথমার্ধেই তারা এগিয়ে ছিল ৩-০ গোলে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে, ৪৭ মিনিটে এল চতুর্থ গোল। চোখধাঁধানো ফর্মে থাকা ফেডেরিকো চিয়েসার গোলে ৬ মিনিটে গোল উৎসব শুরু জুভদের।
Advertisement
এরপর ২৯ মিনিটে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করে দেন আলভারো মোরাতা। ৪৫ মিনিটে তৃতীয় গোল করেন আদ্রিয়েন র্যাবিওট। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই, ৪৭ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের হয়ে চতুর্থ গোল করেন আলভারো মোরাতা। ৮৫ মিনিটে একটি গোল পরিশোধ করেন বোলোনিয়ার রিকার্ডো ওরসোলিনি।
জুভেন্টাসের চতুর্থ গোলটির সময়ও অবশ্য তাদের চ্যাম্পিয়নস লিগ নিশ্চিত ছিল না। আরও অনিশ্চিত হয়ে যায় ওদিকে নাপোলির মাঠে ৬০ মিনিটে নাপোলির আমির রাহমানি গোল করলে। ভেরোনার বিপক্ষে এগিয়ে থাকা নাপোলি তখন পয়েন্ট তালিকার সেরা চারে, জুভেন্টাস পাঁচে!
কিন্তু ৬৯ মিনিটে ভেরোনার দাভিদে ফারাওনি গোল করে জুভেন্টাসে প্রাণ ফেরান। শেষ পর্যন্ত ম্যাচে সমতাসূচক ওই গোলই লিগে দুই দলের মধ্যে হয়ে থাকে ব্যবধানসূচক।
আতালান্তার মাঠে মিলানের দুটি গোলই পেনাল্টি থেকে, দুটিই ফ্রাঙ্ক কেসির। প্রথমটি ৪৩ মিনিটে, দ্বিতীয়টি ম্যাচ শেষের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে।
আইএইচএস/এএসএম