জাতীয়

প্রকাশক দীপন হত্যা : সিসি ফুটেজে ক্লু ‘নেই’

জাগৃতি প্রকাশনার স্বত্ত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপনকে হত্যার এক মাস পেরিয়ে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ঘটনায় আজিজ সুপার মার্কেটে স্থাপিত ৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজে অপরাধীদের শনাক্ত করা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে ৩১ অক্টোবর বিকেলে আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলার ১৩২ নম্বর দোকানে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ২ নভেম্বর দীপনের স্ত্রী ডা. রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তের দায়ভার দেয়া হয় মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে। এ বিষয়ে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আমরা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজগুলো ভালোভাবে যাচাই বাছাই করা হয়েছে। ফুটেজে আসামিদের শনাক্ত করা যায়নি। ঘটনার ১ মাসেও আসামি শনাক্ত না হওয়ায় তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, কাউকে গ্রেফতার করলেই যে তদন্তে অগ্রগতি হয় এমনটি নয়। ভিডিও ফুটেজে আসামিদের শনাক্ত করা না গেলেও তদন্ত অনেকদূর এগিয়েছে। আশা করছি দ্রুত আসামিরা গ্রেফতার হবে। তবে এ বিষয়ে শ্রাবণ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী এবং দীপনের বন্ধু রবিন আহসান জাগো নিউজকে বলেন, আজিজ সুপার মার্কেট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে আমরা কয়েকজন সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই বাছাই করেছি। কয়েকজনের চলাফেরা সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশকে তাদের বিষয়ে জানিয়েছি। আমাদের ধারণা, ভিডিও ফুটেজেই হত্যাকারীদের একজন রয়েছে। তদন্ত সূত্র জানায়, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করলেও এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া সরাসরি কাউকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তবে ব্লগার হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া এবিটির অন্যান্য আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই স্লিপার সেলের সদস্য তাই এরা একে-অপরের নাম-পরিচয় জানে না। নিজেদের মধ্যে যোগাযোগও করে না। এর আগে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে একুশের বইমেলা থেকে বের হওয়ার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ও বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। জাগৃতি থেকে অভিজিৎ রায়ের ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ ও ‘অবিশ্বাসের দর্শন’ নামের দুটি বই প্রকাশিত হয়। বই দুটি প্রকাশের জন্যেই তাকে হত্যা করা হয়েছে জানিয়েছে পুলিশ। এআর/এসএইচএস/এমএস

Advertisement