আন্তর্জাতিক

ভারতে করোনায় মৃত্যু ৩ লাখ ছাড়াল

ভারতে রীতিমত তাণ্ডব চালাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এর মধ্যেই দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়ে গেছে। ভয়াবহ এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পর মৃত্যুর দিক থেকে তিন নম্বরে উঠে এসেছে ভারত। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট ৩ লাখ ২ হাজার ৭৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩ হাজার ৭৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪০ হাজার ৮৪২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ১১.৩৪ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত দেশটিতে মোট সংক্রমণের হার ৮.০৭ শতাংশ। রোববার (২৩ মে) এসব তথ্য জানায় ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ কোটি ৬৭ লাখ ১৮ হাজার ১০৮। গত ২৪ ঘণ্টার মৃত্যু নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২ লাখ ৯৯ হাজার ২৬৬ জনে। ইতোমধ্যেই দেশটিতে সুস্থ হয়ে উঠেছে ২ কোটি ৩৬ লাখ ৫৯ হাজার ১৮৯।

এদিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন বাড়ালো রাজধানী দিল্লি। রোববার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এক ঘোষণায় লকডাউন বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন।

Advertisement

এর আগে দিল্লিতে প্রথম ১৮ এপ্রিল লকডাউন শুরু হয়। যা ২৪ মে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হলো আরও এক সপ্তাহ।

লকডাউন বাড়ানোর ঘোষণার সময় মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বলেন, সংক্রমণ নিম্নমুখী হলে আগামি ৩১ মে'র পর থেকে লকডাউন তুলে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

কেজরিওয়াল জানান, দিল্লির সকল নাগরিককে আগামী তিন মাসের মধ্যে টিকার আওতায় আনাই এই মুহূর্তে তাদের উদ্দেশ্য। কারণ সবাইকে টিকা দিতে পারলেই কোভিড-১৯ এর তৃতীয় ঢেউ এড়ানো সম্ভব হবে।

পরিসংখ্যান বলছে, দিল্লির করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। গত মাসে দিল্লিতে করোনা সংক্রমণের হার ছিল ২৫ শতাংশ। সেখানে শনিবার তা কমে দাড়ায় ৩.৫৮ শতাংশে।

Advertisement

শেষ তিন দিন ধরে দৈনিক সংক্রমণ তিন হাজারের নিচে। এমন পরিস্থিতিতে ফের লকডাউনের মেয়াদ বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। কেজরিওয়াল জানান, দিল্লিতে করোনা সংক্রমণের হার নিম্নমূখী।

এছাড়া গত শনিবার আরও নয়দিনের জন্য লকডাউনের মেয়াদ বাড়ায় উত্তরপ্রদেশ। লকডাউন ঘোষণার সময় উত্তরপ্রদেশ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, লকডাউনের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।

টিটিএন/এমকেএইচ