নিখোঁজ হওয়ার নয় দিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাওয়া গেছে।
Advertisement
শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক রইচ উদ্দিন জাগো নিউজকে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত ১৫ মে রাতেই একটি অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়েছিলাম। আজ জানতে পেরেছি এটি হাফিজের মরদেহ।
তবে এটি হত্যা না-কি আত্মহত্যা এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
মৃত্যুর বিষয়ে হাফিজের বন্ধু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম প্রান্ত এক ফেসবুক পোস্টে লিখেন, হাফিজ আর নেই। কিছুক্ষণ আগে মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে ঢাকা মেডিকেলে। যারা মরদেহ নিয়ে এসেছিল তারা বলছে, শহীদ মিনারের সামনে ডাব বিক্রেতার দা নিয়ে নিজের গলায় আঘাত করে টিএসসির দিকে দৌড় দেয় হাফিজ। কিছুদূর গিয়ে পড়ে যায় সে।
Advertisement
তিনি আরও লেখেন, সেখানকার লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন এবং ঢাকা মেডিকেলের মর্গে মরদেহটি অজ্ঞাতনামা হিসেবে রাখা হয়। সঙ্গত কারণেই মরদেহের ছবি শেয়ার করছি না। প্রক্টর স্যার ঢাকা মেডিকেলে যাচ্ছেন মরদেহ আনার জন্য। তার পরিবারকে জানানো হচ্ছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত আশা করছি।
নিহত হাফিজের বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা গতকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিখোঁজের সংবাদ প্রচার করে। ফেসবুক পোস্টে তারা উল্লেখ করেন, হাফিজুর রহমান ঈদের পরদিন ১৫ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। ওই দিন কার্জন হল থেকে রাত ৮টায় মায়ের সঙ্গে সর্বশেষ ফোনালাপের পর থেকে ৯ দিন ধরে তিনি নিখোঁজ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানায় এ বিষয়ে জিডি করা হয়েছে, শাহবাগ থানায়ও অবহিত করা হয়েছিল বলে তারা জানান।
আল সাদী/এআরএ/এমএস
Advertisement