খেলাধুলা

আফ্রিদি ঝড়ে সিলেটের সংগ্রহ ১৩৯

২২ রানেই হারিয়ে বসেছিল ৪ উইকেট। সিলেট সুপার স্টারসের দুর্দশার বুঝি আর শেষই হলো না। এমনটা ভেবে যারা গোমড়া মুখ করে বসেছিলেন, নিমিষে তাদের মুখে হাসি ফুটে উঠল। ফুটিয়ে তুললেন একজন, তিনি বুম বুম আফ্রিদি। বিপিএলের তৃতীয় আসরে প্রথমবারেরমত খেলতে নেমেই ঝড় তুললেন তিনি। তার ৪১ বলে ৬২ রানের ঝড়ের ওপর ভর করে শেষ পর্যন্ত সিলেট সুপার স্টারসের সংগ্রহ দাঁড়াল ১৩৯ রান-এ।আজকের ম্যাচে (বুধবার) মাঠে নামার আগে চিটাগাং ভাইকিংস আর সিলেট সুপার স্টারস যেন এবারের বিপিএলে একই সুতোয় গাঁথা দুটি দল। একই ভাগ্য নিয়েই যেন একে অপরের হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। কারণ, এখনও পর্যন্ত দল দুটির জয় মাত্র একটি করে ম্যাচে। পয়েন্ট ২ করে। যদিও চিটাগাংয়ের (৬টি) চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলেছে সিলেট (৫টি)।  পরস্পর মুখোমুখি হয়ে আজই একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মিশন। ম্যাচ শুরুর আগে টস ভাগ্যটা কিন্তু গেলো চিটাগাংয়ের পক্ষেই। কয়েন নিক্ষেপে জয় হয়েছে তামিম ইকবালেরই এবং টস জিতেই ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। আমন্ত্রিত হয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মহা ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল মুশফিকুর রহিমের সিলেট। তাসকিন আহমেদ এবং বিলাওয়াল ভাট্টির তোপের মুখে ২২ রানের মধ্যে আউট হয়েছেন নুরুল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম। রান আউট হয়েছেন লংকান ওপেনার দিলশান মুনাভিরা এবং ইংলিশ ব্যাটসম্যান রবি বোপারা।দুর্ভাগ্যের শুরুটা দিলশান মুনাভিরার রান আউটের মধ্য দিয়ে। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই রান আউট হয়ে যান মুনাভিরা। মোহাম্মদ আমির নিজের বলেই নিজে ফিল্ডিং করেন এবং সরাসরি থ্রোমে আউট করেন মুনাভিরাকে। তৃতীয় ওভারে বল করতে আসেন পাকিস্তানি বিলাওয়াল ভাট্টি। চতুর্থ বলে বাউন্ডারি খেলেও ওভারের শেষ বলে ফিরিয়ে দিলেন নুরুল হাসানকে। উইকেটের পেছনে উমর আকমলের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। পরের ওভারের প্রথম বলে আবারও উইকেট। এবার শিকারি তাসকিন আহমেদ। শিকার হলেন মুশফিকুর রহিম। মাঠে নেমে প্রথম বলেই শিকার হলেন এলবিডব্লিউর। ওভারের চতুর্থ বলে আবারও উইকেট। এবার রান আউট দুর্ভাগ্যের শিকার হলেন রবি বোপারা।আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করেই বাংলাদেশে চলে আসলেন আফ্রিদিসহ পাকিস্তান জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। চট্টগ্রামে আজ (বুধবার) চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে খেলতে নামলেন বুম বুম আফ্রিদি। বিপর্যয়ে পড়া সিলেটকে টেনে তোলার গুরু দায়িত্ব বর্তায় তার ঘাড়েই।পাকিস্তানি এই ড্যাশিং ওপেনারের ব্যাটে দারুনভাবে লড়াইয়ে ফিরে এসেছে সিলেট সুপার স্টারস। ২২ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর মঠে নামেন আফ্রিদি। মোমিনুল হক এবং নাজমুল হোসেন মিলনের সঙ্গে ছোট ছোট দুটি জুটি গড়েন তিনি। চিটাগাংয়ের বোলারদের তোপের মুখে মোমিনুল আর মিলন আউট হয়ে যান ৬৩ রানের মধ্যে। তবে এরই মাঝে আফ্রিদির ডানায় উড়তে শুরু করে সিলেট সুপার স্টারস। ১৪তম ওভারেই দলীয় স্কোর শতরানের গণ্ডি পার করিয়ে দেন আফ্রিদি। ৩৩ বলের ঝড়ে নিজে পৌঁছে যান হাফ সেঞ্চুরির মাইলফলকে। ৪টি বাউন্ডারি আর ৩টি ছক্কায় সাজালেন হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস। সবচেয়ে বেশি পেটালেন শফিউল ইসলামকে। এরপর আসিফ হাসানকে।যদিও বাংলাদেশি কোন বোলার নয়, স্বদেশি মোহাম্মদ আমিরের বলেই শেষ পর্যন্ত উইকেট হারালেন পাকিস্তানের এই ড্যাশিং অলরাউন্ডার। ১৮তম ওভারের প্রথম বলেই আফ্রিদিকে বোল্ড করে চিটাগাংকে উল্লাসে ভাসান মোহাম্মদ আমির। আউট হওয়ার আগে ৪১ বলে ৫টি বাউন্ডারি আর ৪টি ছক্কায় তিনি করেন ৬২ রান। দলীয় রান তখন ১২৫।তার আগে ১৭ রান করে আউট হয়েছিলেন সোহেল তানভির। ১৬ বল খেললেও দলীয় স্কোর গড়তে আফ্রিদিকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছিলেন তিনি। শেষ দিকে ১২ বলে ১০ রান করে আবদুর রাজ্জাক দলীয় স্কোর ১৩৯ রানে নিয়ে যান। একেবারে শেষ বলে রানআউট হন মোহাম্মদ শহিদ।আইএইচএস/এমএস

Advertisement