স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামীকাল (সোমবার) থেকে সারা দেশে গণপরিবহন চালুর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এমন খবরে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে বাস ধোয়া-মোছা এবং অন্যান্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এছাড়া যেসব শ্রমিক-চালক গ্রামে চলে গিয়েছিলেন, তারাও ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
Advertisement
সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা ও নগর বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির আহ্বায়ক আজমল উদ্দিন আহমদ সবুর জাগো নিউজকে বলেন, ‘গণপরিবহন চালুর খবর সংবাদমাধ্যমে শুনেছি। তবে এখনো লিখিত কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি। তারপরও কাল থেকে গণপরিবহন চালু করতে প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই টার্মিনাল থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে প্রায় ১২ হাজার বাস চলাচল করে। এসব বাসের সঙ্গে লাখো শ্রমিক, মালিক জড়িত। লকডাউনের কারণে এ দুই মাস তাদের কোনো আয় ছিল না। এখন গণপরিবহন চালু হলে সেই সংকট লাঘব হবে।’
রোববার (২৩ মে) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, টার্মিনালের ভেতর সারিবদ্ধভাবে শত শত বাস পার্কিং করা রয়েছে। দীর্ঘদিন না চলার কারণে প্রতিটি বাসের ভেতর এবং বাইরে কয়েক স্তরের ধুলাবালির আবরণ পড়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি বাস ধোয়া-মোছার কাজ করছেন শ্রমিকরা। কয়েকটি বাসের ইঞ্জিন মেরামতের কাজ করতে দেখা গেছে।
Advertisement
পরিবহন শ্রমিক নাদিম বলেন, লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় আয়ের পথও বন্ধ হয়ে গেছিল। সংসারে অভাব-অনটনের সৃষ্টি হয়েছে। এখন বাস চললে দুমুঠো ভাত খেতে পারবো।
সায়েদাবাদ থেকে হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জে চলাচল করে লাকী এক্সপ্রেস লিমিটেডের ১০টি বাস। এই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনসুর আহমেদ বলেন, ‘দুই মাস লকডাউনে গণপরিবহন খাতে অনেক লোকসান হয়েছে। এখন বাস চালু করায় আমরা খুশি। খবর পেয়ে সবাইকে ঢাকা আসতে বলেছি। বাস ধোয়া-মোছার কাজ চলছে।’
এমএমএ/এমএইচআর/জেআইএম
Advertisement