জাতীয়

মিঠামইনে হচ্ছে সেনানিবাস

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে সেনানিবাস স্থাপনের কাজ চলছে বলে সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। দুর্গম হাওড়ের পাশাপাশি কক্সবাজারের রামুতেও তৈরী হচ্ছে আরেকটি সেনানিবাস। বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এই তথ্য জানানো হয়।কমিটির সভাপতি সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ফারুক খান, ডা. দীপু মনি এবং হোসনে আরা বেগম অংশ নেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও তিন বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের আবাসন নিয়ে আলোচনা হয়। এসময় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমানে প্রতিরক্ষা বিভাগের অধীনে ৪৬ হাজার ৪১৪ একর জমি আছে। এরমধ্যে সেনাবাহিনীর ৩৫ হাজার ৮৫৮ একর, নৌবাহিনীর এক হাজার ৩৮০ একর এবং বিমান বাহিনীর পাঁচ হাজার ৫১৯ একর জমি।এছাড়া বরিশালে ১০ একর জমিতে নির্মিত সেনাপল্লীর ১২০টি প্লট এবং ৯ দশমিক ৬৮ একর জমিতে নির্মিত পটুয়াখালী সেনাপল্লীর ১১৮টি প্লটের মধ্যে ৫০টি সৈনিকদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাকিগুলো বরাদ্দ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। কুমিল্লায় ৪৪ দশমিক ৪১ একর জমিতে নির্মিত সেনাপল্লীতে প্লট বরাদ্দের কাজ এখনও শুরু হয়নি। এছাড়া রাজবাড়ী জেলায় ৩ হাজার ৫৩৪ একর এবং বরিশাল ও পটুয়াখালীর মাঝামাঝি পায়রা নদী সংলগ্ন ১ হাজার ৫৭৬ একর জমিতে সেনানিবাস নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।কমিটি জমির স্বল্পতার প্রতি দৃষ্টি রেখে বহুতল ভবন নির্মাণের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতের সুপারিশ করেছে। ডিওএইচএস এলাকায় জমি ও ফ্ল্যাট হস্তান্তরে দ্রুত প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেয়ারও সুপারিশ করা হয়।বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জমি অধিগ্রহণের সময় যেন চিন্তা-ভাবনা করে নেয়া হয়। বহুতল ভবন নির্মাণ করলে জমির ব্যবহার বাড়ানো যায়।সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, বৈঠকে সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদফতরের আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকি বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।এইচএ/এএইচ/আরআইপি

Advertisement