বিনোদন

চলচ্চিত্রে এসেছে নির্মাণের মুন্সিয়ানা

প্রায় এক দশক ধরে ঢাকাই ছবির বাজার চলছে ভারতীয় ছবির কাট-কপি-পেস্ট করে। কোনো কোনো নির্মাতাকে দেখা গেছে ভারতীয় ছবির ভিডিও ছেড়ে সেটি দেখে দেখেই নিজের ছবির শুটিং করছেন। না থাকে এদের কোনো স্ক্রিপ্ট, না থাকে কোনো মৌলিকত্ব। তারপর সেন্সরকে ম্যানেজ করে সেটি হলে আনেন। ব্যবসা না হলে দায় চাপান গণমাধ্যমের উপর- ‘কেউ চলচ্চিত্রের প্রচার করে না’ দাবি করে। কিন্তু একবারও সেইসব অযোগ্য নির্মাতারা ভাবেন না, যে জিনিস দর্শক তিন মাস আগেই ঘরে বসে উপভোগ করেছেন সেই জিনিস দেখতে গাটের টাকা খরচ করে কেন তারা তিন মাস পরে হলে যাবেন? শুধু তাই নয়, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ছবিতে দেখা গেছে দুর্বল নির্মাণের চিত্রও। তারমধ্যে উল্লেখ করা যায়, স্টোরি অব সামারা, নগর মাস্তান, জটিল প্রেম ইত্যাদি।তবে আশার কথা হলো নকল ছবি আর দুর্বল নির্মাণের এই অসময়ে বেশ ক’জন তরুণ নির্মাতা ছবি নির্মাণে নিয়ে এসেছেন মৌলিকত্ব ও মুন্সিয়ানা। তাদের হাত ধরে ঢাকাই ছবি অপেক্ষা করছে নতুন এক প্রত্যাবর্তনের। তাদের মধ্যে উল্লেখ করা যায় চলতি বছরেই মুক্তি পাওয়া ‘আরো ভালোবাসবো তোমায়’ ছবির পরিচালক এস এ হক অলিকের নাম। এই নির্মাতার তৃতীয় ছবিটি ব্যবসায় সফল না হলেও মৌলিক গল্প ও চমৎকার নির্মাণে মন ভরিয়েছেন চলচ্চিত্রপ্রেমীদের। পাশাপাশি অনন্য মামুন মুগ্ধ করেছেন ‘ভালোবাসার গল্প’ ও সাইফ চন্দন প্রশংসিত হয়েছেন ‘ছেলেটি আবোল তাবোল মেয়েটি পাগল পাগল’ ছবি দিয়ে। ‘চুপি চুপি প্রেম’ ছবিতে নির্মাণ শৈলী দেখিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। ভিন্ন ধারার গল্প বলায় দারুণ মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন প্রসূন রহমান, আবু শাহেদ ইমনসহ আরো বেশ ক’জন নির্মাতা। তাদের ‌‘সুতপার ঠিকানা’ ও ‘জালালের গল্প’ প্রশংসিত হয়েছে দেশে-বিদেশে।এদিকে ‘মুক্তির অপেক্ষায় থাকা মোস্তফা কামাল রাজের ‘সম্রাট’, হাসিবুর রেজা কল্লোলের ‘সত্বা’, বুলবুল বিশ্বাসের ‘রাজনীতি’, শামীম আহমেদ রনির ‘মেন্টাল’, অনন্য মামুনের ‘অস্তিত্ব’ এবং জাজ মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে ‘অঙ্গার’, ‘নিয়তি’, ‘হিরো ৪২০’, ছবিগুলোতে আভাস মিলছে ছবি নির্মাণে নান্দনিকতার। দর্শক ও চলচ্চিত্রবোদ্ধারাও তাই আশায় বুক বেঁধেছেন আগামী বছরটা হবে চলচ্চিত্র দিয়ে বিনোদনের দারুণ এক স্টেশন। এলএ

Advertisement