শতভাগ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে এনে মৃত্যুহার শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা হবে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। শনিবার (২২ মে) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির জরুরি সভায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জোর করে ধরে নিয়ে এসেও যদি কাউকে বাঁচানো যায়, সেটা ভালো। প্রয়োজনে চ্যাংদোলা করে নিয়ে আসতে হবে, প্রধানমন্ত্রীও তাই বলেছেন। যেমন করেই হোক সবাইকে শেল্টারে আনতে হবে, একজনকেও রেখে আসা যাবে না।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ফণি, বুলবুল, আম্ফান মোকাবিলা করেছি। মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। আমি বিশ্বাস করি অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে এবারও ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারব। শতভাগ মানুষকে শেল্টার সেন্টারে নিয়ে গিয়ে মৃত্যুর হার শূন্যের কোটায় নিয়ে যাব।’
যারা আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান করে তাদের মধ্য থেকেই বেশি মারা যায় উল্লেখ করে এনামুর রহমান বলেন, ‘সবাইকে শেল্টারের ভেতর রাখতে হবে, তাই মৃত্যুহার জিরো হবে। এবার আমরা টার্গেট রাখব মৃত্যুহার যেন জিরো হয়।’
Advertisement
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি পরবর্তী সময়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ভারত হয়ে বাংলাদেশের খুলনা উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘ইয়াস’।
সভার শুরুতে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এটি এখনও হাজার কিলোমিটার দূরে রয়েছে। তাই এক নম্বর দূরবর্তী সংকেত দেয়া হয়েছে। নিম্নচাপ হওয়ার পর ধীরে ধীরে উপকূলের দিকে এলে পরবর্তীতে সংকেত বাড়ানো হবে।’
এনামুর রহমান বলেন, ‘আবহাওয়া অধিদফতর রোববার ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেবে। ২৪ মে (সোমবার) ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেয়া হবে। নিম্নচাপটি ২৩ বা ২৪ মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে।’
প্রস্তুতির কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) জানিয়েছে, তাদের সব সদস্যদের এর মধ্যে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা প্রচারণা শুরু করেছে। সাইক্লোন শেল্টারগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছে। কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে প্রচারণা করছে। ফায়ার সার্ভিসও প্রস্তুত রয়েছে। স্কাউটের ছয় লাখ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। শুকনা খাবার মজুদ রয়েছে। রোববার থেকে বিভিন্ন জেলায় এসব খাবার পাঠিয়ে দেয়া হবে।’
Advertisement
এনামুর রহমান আরও বলেন, ‘এর আগে ১৪ হাজার ৬৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে দুর্গত লোকদের রাখা হয়েছে। করোনার কারণে আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হবে। তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবহার করব। আশ্রয়কেন্দ্রে আগতদের মাস্ক, স্যানিটাইজার দেয়া হবে। করোনা রোগী পাওয়া গেলে তাদের আলাদা রুমে রাখা হবে।’
আরএমএম/জেডএইচ/জিকেএস