অর্থনীতি

ভরিতে স্বর্ণের দাম বাড়ল ২০৪১ টাকা

স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে ২ হাজার ৪১ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। আগামীকাল রোববার (২৩ মে) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

Advertisement

শনিবার বাজুসের সভাপতি এনামুল হক খান ও সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ১০ মে ভরিতে স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়ানো হয়। ফলে চলতি মাসে দু’দফায় ভরিতে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হল ৪ হাজার ৩৭৪ টাকা।

এখন স্বর্ণের দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে বাজুস বলছে, করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট ও নানান জটিল সমীকরণের কারণে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট বন্ধ থাকা, আমদানি পর্যায়ে শুল্ক জটিলতা (উপকরণ কর রেয়াত) ও নানান ধরনের দাপ্তরিক জটিলতার কারণে গোল্ড ডিলাররা স্বর্ণবার আমদানি করতে পারছেন না। তাছাড়া চাহিদার বিপরীতে যোগান কম থাকায় দেশীয় বুলিয়ান/পোদ্দার মার্কেটেও স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

Advertisement

বাজুসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রোববার থেকে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৪১ টাকা বাড়িয়ে ৭৩ হাজার ৪৮৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৭০ হাজার ৩৩৩, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬১ হাজার ৫৮৪ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫১ হাজার ৬২ টাকায় বিক্রি হবে।

সাধারণত সোমবার বিশ্ববাজারের চিত্র দেখ মঙ্গলবার থেকে স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাজুস। কিন্তু এবার শনিবার সিদ্ধান্ত নিয়ে রোববার দাম বাড়ার কারণ কি? এমন প্রশ্ন করা হলে বাজুসের সভাপতি এনামুল হক খান জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম যে হারে বেড়েছে, তাতে সোমবারের চিত্র দেখার প্রয়োজন নেই।’

স্বর্ণের দাম বাড়লেও রুপার পূর্বনির্ধারিত দাম বহাল রয়েছে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৫১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ১৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১২২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপার দাম ৯৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে আজ (শনিবার) সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ ৭১ হাজার ৪৪২ টাকা, ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৮ হাজার ২৯২, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৫৯ হাজার ৫৪৩ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৪৯ হাজার ২১ টাকা বিক্রি হয়েছে।

Advertisement

এমএএস/এমএইচআর/এমকেএইচ