স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নবনির্বাচিত মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল আজিজ বলেছেন, অচিরেই স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) ১৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সম্প্রতি ঘোষিত ১০ সদস্যের কমিটির শীর্ষ নেতারা এ লক্ষ্যে স্বাচিপের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্বাচিপ নেতাদের সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতে যোগ্য নেতাদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বুধবার জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান তিনি। অনেক জল্পনা কল্পনা শেষে ১৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান ও মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল আজিজকে সভাপতি ও মহাসচিব মনোনীত করে স্বাচিপের ১০ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেন সদ্য বিদায়ী সভাপতি অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক। কমিটির অন্যরা হলেন- সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, ডা. জামালউদ্দিন চৌধুরী, রোকেয়া সুলতানা ও অধ্যাপক ডা. আবদুর রউফ সর্দার, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ডা. জাকারিয়া স্বপন, অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া ও ডা. জুলফিকার লেনিন এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির। নির্বাচিত এই নতুন কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ক্ষমতা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়নি। এতে স্বাচিপের কিছু সংখ্যক নেতা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, কমিটি গঠন নিয়ে দলবাজি চলছে। সকলেই তার অনুগতদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছেন। বর্তমানে স্বাচিপের সদস্যসংখ্যা প্রায় তের হাজার। গত ১৩ নভেম্বর শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাচিপের চতুর্থ জাতীয় সম্মেলনে গঠনতন্ত্র সংশোধনের মাধ্যমে স্বাচিপের কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে ১০১ থেকে ১৫১ সদস্য করার সিদ্ধান্ত হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাচিপের কমিটিতে নেতা হিসেবে নাম অন্তর্ভুক্ত করতে রাজধানীসহ সারাদেশের চিকিৎসকরা নতুন কমিটির নেতাদের পাশাপাশি একাধিক মন্ত্রী, সাংসদ ও রাজনীতিবিদদের কাছেও ধর্ণা দিচ্ছেন। স্বাচিপের কমিটিতে কাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নবনির্বাচিত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির বুধবার জাগো নিউজকে বলেন, যারা দলের দুঃসময়ে পাশে ছিলেন, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নেই, ক্লিন ইমেজের তাদেরকেই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। কেননা যার নাম কমিটিতে থাকবে তিনি নেতা হিসেবে সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন। পরে কোনো অপকর্ম করলে তা দলের ইমেজ ক্ষুন্ন করবে। এমইউ/একে/এমএস
Advertisement