লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় ভোলার চরফ্যাশন-মনপুরা নৌরুটে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী পার করা হচ্ছে ট্রলারে। এসময় যাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি।
Advertisement
সরেজমিন দেখা যায়, ভোলার চরফ্যাশনের বেতুয়া এলাকায় নতুন স্লুইচগেট এলাকা থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ও দুপুর ২টায় মনপুরার জনতা বাজার ঘাটে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে দুইটি বড় ট্রলার। ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী নিয়ে উত্তাল মেঘনা পারি দিচ্ছে এ ট্রলারগুলো।
মো. আব্দুল সাত্তার, ইসমাইল ও মাইনউদ্দিনসহ একাধিক যাত্রীরা জানান, জীর্বিকার তাগিদে এ রুটে নিয়মিত যাতায়াত করতে হচ্ছে। আগে ভাড়া ছিল ৮০ টাকা। বর্তমানে নেয়া হচ্ছে ১২০ টাকা করে।
এদিকে গত বুধবার (১৯ মে) অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. শামীম মিঞা এক ট্রলার কর্তৃপক্ষকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও অতিরিক্ত টোল আদায়ের অপরাধে ইজারাদারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
Advertisement
এ রুটে চলাচলকারী ট্রলার এম বি সিরাজুল ইসলাম ভূইয়ার মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ভোলা বিআইডব্লিউটিএ’র অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৫ মার্চ-১৫ অক্টোবর ভোলার মেঘনা নদীর ডেঞ্জার জোনে সি-সার্ভের লাইসেন্স ছাড়া কোনো নৌযানে যাত্রী বহন করা নিষিদ্ধ।
ভোলা বিআইডব্লিউটিএ’র বিভাগীর সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান জানান, বর্তমানে ডেঞ্জার জোন চলছে। ডেঞ্জার জোনের সকল রুটে ফিটনেস বিহীন ছোট লঞ্চ ও ট্রলার চলাচল নিষিদ্ধ। তবে এ রুটের ট্রলার চলাচলের বিষয়ে আমরা শুনেছি। দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুয়েল সাহা বিকাশ/এসএমএম/এএসএম
Advertisement