২৯ মে বিসিসিআই কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভা। সেখানে অন্যতম প্রধান এজেন্ডা হলো আগামী বিশ্বকাপ আয়োজন। করোনার কারণে আইপিএল স্থগিত করতে হয়েছে মাঝপথে। একই কারণে কী বিশ্বকাপ আয়োজন করা সম্ভব হবে ভারতের? এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজতেই ওই বিশেষ সভার আহ্বান। সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটা ১ জুন পাঠিয়ে দেয়া হবে আইসিসির বৈঠকে।
Advertisement
কিন্তু এবার বিসিসিআই নিজেরা বিশ্বকাপের ভাগ্য নির্ধারণের ভার নিজেদের হাতে রাখলো না। তুলে দিচ্ছে খোদ আইসিসির হাতেই। আইসিসিই সিদ্ধান্ত নেবে, ভারতের মাটিতে হবে নাকি অন্য কোথাও হবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কিন্তু আইপিএল স্থগিত হওয়ার পর এ টুর্নামেন্ট নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। সেই সংশয় হয়তো কেটে যাবে আগামী ১ জুন, আইসিসি’র নির্বাহী বোর্ডর সভায়। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারত। বর্তমানে দেশটিতে সংক্রমণের হার কিছুটা কমলেও মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় বছরের শেষে অর্থাৎ অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন প্রায় অসম্ভব। ১ জুন আইসিসি’র নির্বাহী বোর্ড মিটিংয়ে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এর আগে ২৯মে স্পেশাল জেনারেল মিটিং ডেকেছে বিসিসিআই। অর্থাৎ আইসিসি’র সভার দু’ দিন আগে নিজেদের মধ্যে হোম-ওয়ার্ক সেরে ফেলবেন সৌরভ গাঙ্গুলি অ্যান্ড কোং।
এরইমধ্যে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারতের আয়োজন করা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেক সাবেক ক্রিকেটার। বিশ্বকাপের জন্য মোটামুটি নয়টি ভেন্যুও নির্বাচন করে ফেলেছে বিসিসিআই; কিন্তু বাধ সেধেছে করোনা। বায়ো-বাবলে ক্রিকেটারদের রেখেও আইপিএল আয়োজন করতে না-পারায় বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। আইপিএল থেকে দেশে ফিরে সাবেক অসি ব্যাটসম্যান মাইক হাসি বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়া খুব কঠিন।
Advertisement
ভারত বিশ্বকাপ আয়োজন করতে না পারলে ব্যাকআপ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বেছে নিতে পারে আইসিসি। তবে মরুশহরে বিশ্বকাপ আয়োজিত হলেও তার স্বত্ব থাকবে বিসিসিআই’র হাতেই। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার কথা ১৮ অক্টোবর। আর শেষ হবে ১৫ নভেম্বর। বিশ্বের ১৬টি দেশ নিয়ে প্রায় এক মাস ধরে চলবে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই বিশ্বযুদ্ধ।
আইএইচএস/