যুদ্ধাপরাধীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুন্সী আহসান কবীরের বড় ভাইকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর নির্বাচনে প্রার্থী করায় জীবননগরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী জাগ্রত জনতার ব্যানারে আওয়ামী লীগ এ সমাবেশ করে। মঙ্গলবার বিকেলে জীবননগর বাসস্ট্যান্ড চত্বরে জীবননগর পৌর আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মী এ বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করেন এবং মুন্সী নাসির উদ্দীনের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল জানান, ঘৃণিত যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ অবলম্বনকারী সাকা-মুজাহিদ ও নিজামীর প্রধান আইনজীবী ব্যরিস্টার মুন্সী আহসান কবীরের ভাই মুন্সী নাসির উদ্দিনকে আসন্ন জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়। এর প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ-সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক মেয়র পদ প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম, উথলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল হান্নান, সাধারন সম্পাদক সোহরাব হোসেন খান, রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহাজ্জত হোসেন, সীমান্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস শুকুর, ওয়াসিম রেজা প্রমুখ। এসময় বক্তরা বলেন, আওয়ামী লীগের দূর্গ হিসেবে খ্যাত জীবননগর উপজেলায় আওয়ামী লীগ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। যার ফলে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ অবলম্বনকারী পরিবারের সদস্যকে পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রস্তাব করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি বাঁচাতে এ পরিবারটিকে প্রতিরোধ করার সময় এসেছে। ব্যরিস্টার মুন্সী আহসান কবীরের ভাই মুন্সী নাসির উদ্দিনকে আসন্ন জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী করা হলে সর্বক্ষেত্রে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। বিগত পৌর নির্বাচনে মাত্র ২৬ ভোটে পরাজিত হওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আছে আবেদন জানিয়েছেন বক্তারা।উল্লেখ্য, পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় মেয়র প্রার্থী মনোনয়নে কেন্দ্রীয় নির্দেশনার অংশ হিসেবে গত রোববার জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে ৪ জন দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি/সম্পাদক বরাবর আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভোট গ্রহণের মাধ্যমে মুন্সী নাসির উদ্দীনকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে ঢাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়। সালাউদ্দীন কাজল/এমজেড/এমএস
Advertisement