জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ফল পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ব্যানারে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।মানববন্ধনে শিক্ষার্থী জানান, আমরা ২০০৯-১০ সেশনের অনার্স ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। আমাদের থেকেই প্রথম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় জিপিএ পদ্ধতি চালু করে। কোন প্রকার ইনকোর্স ছাড়া পাশ নম্বর ছিল ৪০ ভাগ কিন্তু এতে দেখা যায় পাশ করা ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ছিল খুবই কম। এরপর ৩য় বর্ষ থেকে ২০ নম্বরের ইনকোর্স পদ্ধতি চালু করা হয় যে উদ্যেগটি ভালো ছিল।কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন জট কমানোর জন্য ৩য় ও ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা অতি দ্রুত নেওয়া হয়। এমনকি ৪র্থ বর্ষের জন্য নির্ধারিত বছর সময় তো দূরের কথা ৫-৬ মাস সময় পাই এবং হঠাৎ করে পরীক্ষার তারিখ দেওয়া হয় যার জন্য আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।তারা বলেন, এরপর গত ২৬ নভেম্বর ৪র্থ বর্ষের ফল প্রকাশ করা হয় এতে ২৫ ভাগ অর্থাৎ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয় যার বেশির ভাগ শিক্ষার্থী রসায়ন, ইংরেজি ও পদার্থ বিজ্ঞানের মত কঠিন বিষয়ে।আমরা বেশীরভাগ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দরিদ্র ঘরের শিক্ষার্থী। এমনিতেই জীবনের ৬টি বছর চলে গেছে। এর মধ্যে দুই একটি বিষয়ের জন্য আরও একটি বছর চলে যাবে যা আমাদের জন্য খুবই হতাশার।যে সকল শিক্ষার্থী ১টি বা ২টি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে তাদের ফল পুনর্বিবেচনা করে নতুন করে ফল প্রকাশ ও মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দেওয়ার দাবিও জানান তারা। এএস/এআরএস/পিআর
Advertisement