অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তি তর্ক আসামিপক্ষে শেষ হয়েছে অর্থাৎ নিজামীর পক্ষের আইনজীবীরা তাদের বক্তব্য বুধবার সমাপ্ত করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষ আমাকে বক্তব্য দিতে ৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য্য করেছে। আশা করি আপনারা ওই দিন উপস্থিত থেকে তা শোনবেন।বক্তব্যের শেষ দিকে উনাদের শীর্ষ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন যেটা বলেছেন সেটাতো ঐতিহাসিক ঘটনা যে এরা খুন বা মানুষ হত্যা এগুলো হয়েছে এবং এগুলোর সঙ্গে সে সময়ে জামায়াত সহযোগীতাও করেছে। মতিউর রহমান নিজামী তার বিশ্বাস থেকেই এগুলোকে সমর্থন করেছেন। বক্তেব্যের শেষ মহুর্তে উনি বলেছেন, এগুলো যদি করেও থাকে তবুও বয়সের কথা চিন্তা করে তাকে মৃত্যুদণ্ড থেকে অব্যাহতি দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। উনারা সাবমিশন যা করেছে, আমি যা বুঝেছি তাতে আমার মনে হল জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে তাদের শীর্ষ আইনজীবীরা এই প্রথম তাদের একজন অভিযুক্ত নেতা যে অপরাধী সেটা স্বীকার করে নিলেন এবং স্বীকার করে নিয়ে শুধু মৃত্যুদণ্ডের হাত থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য আবেদন করলেন। এটা আমি যা বুঝেছি সেটিই আপনাদের বললাম। ফৌজদারি মোকদ্দমায় এটা একটা আসমি বিকল্প আগ্রুমেন্ট সব সময় করতে পারে। তারা ফ্যাক্টের ব্যপারে অস্বীকার করে আবার অল্টারনেটিভলি এ কথাও বলতে পারে হ্যা এগুলো করেছে ঠিকই তারপর আমি মৃত্যুদণ্ডের হাত থেকে রক্ষা পেতে চাই। জামায়াতের মামলার ব্যাপরে ..আসামিপক্ষের আইনজীবীদের থেকে এরকম স্পষ্ট বক্তব্য দোষ স্বীকার করে নেওয়ার ব্যপারে আমি এই প্রথম দেখলাম। দোষ স্বীকার করে নেওয়ার অর্থ হল তাদের বক্তব্যের ভেতরে তারা বলেছেন, হ্যা ঘটনাগুলো ঘটেছে, এরা এগুলোর ভেতর যুক্ত ছিল, এটা আজকে ঐহিতাসিক সত্য। তারপরও তারা এটা করেছে তাদের বিশ্বাসের থেকে, তাই এখন যেহেতু উনার বয়স হয়ে গেছে ৭৩-৭৪ বছর, উনাকে ফাঁসি দিয়ে কী হবে, অপরাধের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া যেতে পারে। এফএইচ/এএইচ/এমএস
Advertisement