খেলাধুলা

লঙ্কান স্পিনারদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে কেমন উইকেট হবে বাংলাদেশের?

বিসিবি থেকে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়নি। তবে ভেতরের খবর লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রাথমিক দলে ডাকা হয়েছে। গত দু’দিন দলের সাথে অনুশীলন করেছেন এ লেগি। হঠাৎ বিপ্লবকে ডাকা কেন? তবে কী তাকেও স্কোয়াডে রাখার চিন্তা ভাবনা চলছে?

Advertisement

এমনটাই ভাবা হচ্ছিল। তবে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানালেন, নাহ! দলে নেয়ার জন্য নয়। যেহেতু প্র্যাকটিস ম্যাচ আছে। তাই একজন বাড়তি ক্রিকেটারের দরকার ছিল। সে কারণে বিপ্লবকে ডাকা হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে বিপ্লব কাল বৃহস্পতিবার বিকেএসপিতে জাতীয় দলের প্রস্তুতি ম্যাচে খেলবেন।

সেই গা গরমের ম্যাচ নিয়ে প্রধান নির্বাচকের বক্তব্য, ওটা মোটেই ট্রায়াল ম্যাচ নয়। ভাবার কোনোই কারণ নেই যে ওই ম্যাচের পারফরমেন্স দেখে ক্রিকেটার বাছাই করা হবে। তিনি আরও যোগ করেন, এমনও হতে পারে বৃহস্পতিবার সকালেও আপনার দল পেয়ে যেতে পারেন।

প্রসঙ্গতঃ কদিন আগে প্রধান নির্বাচকই জানিয়েছিলেন তারা বিকেএসপির প্র্যাকটিস ম্যাচের পর ওয়ানডে স্কোয়াড ঘোষণা করবেন। তবে আজ বুধবার মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর মুখে ভিন্ন কথা।

Advertisement

তার কথায় পরিষ্কার আভাস, বৃহস্পতিবার বিকেএসপিতে যখন প্রস্তুতি ম্যাচ চলতে থাকবে- তখনই হবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে স্কোয়াড ঘোষণা। কত জনের দল দেয়া হবে?

যেহেতু জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার ব্যাপার-স্যাপার আছে, তাই কয়েকজন বাড়তি ক্রিকেটারও রাখার প্রয়োজনীয়তা আছে। সিরিজ চলাকালীন এর বাইরে থেকে জৈব সুরক্ষা বলয়ে কাউকে ঢোকানোও যাবে না। এর আগে ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজেও এমন ২০-২১ জনের দল ছিল।

তবে আজ প্রধান নির্বাচক জানালেন, তারা আপাততঃ ১৮ জনের দল চূড়ান্ত করবেন। সে বহরের পুরোটাই জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকবেন সোনারগাঁ প্যান প্যাসিফিক হোটেলে। সেখান থেকে নাকি প্রথম দুই ম্যাচের জন্য ১৫ জনকে বেছে নেয়া হবে। এছাড়া পুলভুক্ত বাকি ক্রিকেটারদেরও বিসিবি একাডেমির ডরমেটরিতে রাখার ব্যবস্থা থাকবে।

দলের গঠন শৈলি কেমন হবে? স্কোয়াডে কী বাড়তি স্পিনার রাখা হবে? নাকি পেসার বেশি থাকবে? এমন প্রশ্নর জবাবে প্রধান নির্বাচকের ব্যাখা, সেটা আসলে নির্ভর করবে উইকেটের ওপর। এখন উইকেট যেমন দল ডিমান্ড করবে, তেমন টিমই সাজানো হবে।

Advertisement

ঘরের মাঠে সিরিজ, স্বাগতিক হিসেবে উইকেটের সর্বোচ্চ ফায়দা নেয়ার অধিকার আছে বাংলাদেশের। তবে যতদুর জানা গেছে, তাহলো- শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডির পাল্লেকেল্লে স্টেডিয়ামে লঙ্কান স্পিনারদের কাছেই নাকানি-চুবানি খেয়ে এসেছেন টাইগাররা।

কাজেই স্লো-লো ও স্পিন সহায়ক উইকেটে খেলায় থাকছে বড় ধরনের ঝুঁকি। কারণ লঙ্কান স্কোয়াডে আছেন একঝাঁক স্পিনার। টেস্টে বাংলাদেশের হাসি কেড়ে নেয়া অফস্পিনার রমেশ মেন্ডিসের সাথে লেগস্পিনার হাসারাঙ্গা, আসেন বান্দারা এবং আকিলা ধনাঞ্জয়ার মত পরিচিত ও মেধাবী স্পিনারের সমন্বয়।

কাজেই স্পিন ফ্রেন্ডলি উইকেটে খেলার অর্থ ওসব লঙ্কান স্পিনারদের অনুকুল ক্ষেত্র গড়ে দেয়া। তাই প্রধান নির্বাচকের মুখে স্পোর্টিং পিচের কথাই উচ্চারিত হলো। তার মানে বাংলাদেশ দলে ব্যাটসম্যানই থাকবে বেশি। সাথে স্পিনারদের চেয়ে বরং পেসারদের আধিক্যই থাকা সম্ভাবনা বেশি। তবে পেসারদের মধ্যে রুবেল হোসেনকে পাওয়া যাবে না। কোমরের ব্যাথায় নিজে থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন রুবেল।

মোস্তাফিজ, তাসকিন আর শরিফুলের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত। যেহেতু সাকিব ফিরছেন, সাথে মেহেদি মিরাজ আর শেখ মেহেদিই হতে পারেন স্পিন অপশন। এর বাইরে তো মোটামুটি সাজানোই আছে দল- তামিম, লিটন, নাইম শেখ, সাকিব, সৌম্য, মুশফিক, মিঠুনরা থাকবেনই।

বৃহস্পতিবারের প্র্যাকটিস ম্যাচের দুই দল

এদিকে আজ বুধবার রাতে প্র্যাকটিস ম্যাচের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবালকে করা হয়েছে লাল দলের অধিনায়ক। আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ হয়েছেন সবুজ দলের অধিনায়ক। সাকিব আল হাসানকে রাখা হয়েছে সবুজ দলে।

লাল দল : তামিম (অধিনায়ক), ইমরুল কায়েস, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদি হাসান, নাসুম আহমেদ, সাইফউদ্দীন, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম ।

সবুজ দল : মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), নাইম শেখ, সাকিব আল হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, সৌম্য সরকার, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, শহিদুল ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।

এআরবি/আইএইচএস