সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)। বুধবার (১৯ মে) দুপুরে এক বিবৃতিতে এই দাবি জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
Advertisement
বিবৃতিতে আইইবি জানায়, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে আইইবি লক্ষ করছে যে, সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত এবং দীর্ঘ সময় আটকে রাখার পর তার বিরুদ্ধে সরকারি নথি চুরির অপবাদে মামলা দেয়া হয়েছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আইইবি কৃত্য পেশাভিত্তিক প্রশাসন ও মন্ত্রণালয় গঠনের বিষয়ে প্রকৌশলী-কৃষিবিদ-চিকিৎসক সমন্বয়ে গঠিত প্রকৃচির মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে যে যে কাজের উপযুক্ত, তাকে দিয়ে সে কাজ করাতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, একটি বিশেষ ক্যাডার সব কুক্ষিগত করে রেখেছে। যার ফলে এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়মিত ঘটছে। প্রধানমন্ত্রী দেশকে সবদিক দিয়ে সমৃদ্ধির সোপানে নিয়ে যেতে যেভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, একটি বিশেষ গোষ্ঠীর কারণে তা প্রায়ই প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে। করোনাকালীন এই সময়ে প্রকৌশলী-কৃষিবিদ-চিকিৎসক এবং গণমাধ্যমের কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু তাদের সেভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। বর্তমান কার্যক্রম দেখে মনে হচ্ছে, দেশ পূর্বের তুলনায় আরও বেশি আমলা নির্ভর হয়ে যাচ্ছে এবং এদের দৌরাত্ম আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সব জায়গাতেই তারা হস্তক্ষেপ করছে। এটি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। তা না হলে দেশপ্রেমিক, সৎ, নিবেদিতপ্রাণ অন্য পেশার লোকেরা এদের দ্বারা নিগৃহিত হতেই থাকবে।
আইইবির নির্বাহী কমিটি এবং কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের পক্ষে আইইবির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু) বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে তার পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হেনস্তা করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। একই সঙ্গে অবিলম্বে তাকে যেন মুক্তি দেয়া হয় এবং এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।’
Advertisement
এমএমএ/এমএইচআর/এএসএম