শিক্ষা মন্ত্রণালয় অবৈধ ঘোষণা করলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ১৩৭ জন চাকরিতে যোগদান করতে চান। তারা বলছেন, যোগদান স্থগিত থাকায় তাদের পরিবারগুলো দুশ্চিন্তায় আছেন।
Advertisement
বুধবার (১৯ মে) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষে এসব কথা জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দলীয় টেন্টে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টগর মোহাম্মদ সালেহ, ইলিয়াছ হোসেন, ফারুক হোসেন, আতিকুর রহমান সুমন, তৌহিদ মোর্শেদসহ প্রায় ৪০ জন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিশ্বস্ত সূত্রে তারা জানতে পারেন রাবিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সাত শতাধিক পদ দীর্ঘদিন যাবত শূন্য রয়েছে। ওই সব পদে নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিভি জমা দেন।
Advertisement
৫ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশের ক্ষমতা বলে শূন্য পদের বিপরীতে ছাত্রলীগ, যুবলীগের সাবেক ও বর্তমান ১৩৮ নেতাকর্মীদের অস্থায়ী ভিত্তিতে ছয় মাসের জন্য নিয়োগ দেন। যারা স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির চক্রের হাতে হামলাসহ নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।
সিভি কার কাছে জমা দেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে নিয়োগপ্রাপ্তরা বলেন, উপাচার্যের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল নিয়োগপ্রাপ্তদের। উপাচার্যের কাছে কয়েক দফা সিভি জমা দিয়েছেন তারা।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও নিয়োগপ্রাপ্তদের একজন আব্দুল্লাহ আল মাসুদ জানান, ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী নিয়োগকে অবৈধ বলার সুযোগ নেই। যদি অবৈধ ঘোষণা করতে হয় তাহলে ৭৩-এর অধ্যাদেশের সংশ্লিষ্ট ধারা বাতিল করা উচিত ছিল।
এছাড়া যোগদানের ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রীর নিকট আবেদন জানান তিনি।
Advertisement
উল্লেখ্য, ৫ মে বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান ১৩৭ জনকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়ে যান। ৬ মে নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করে তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষামন্ত্রণালয়। পরে ৮ মে যোগদান স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সালমান শাকিল/এসজে/জেআইএম