ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় আগ্রাসনের প্রতিবাদে পর্তুগালের রাজধানী লিসবন এবং বাণিজ্যিক নগরী পোর্তোতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
Advertisement
পর্তুগালের স্থানীয় সংগঠন জেনারেল কনফেডারেশন অব পর্তুগিজ ওয়ার্কার এবং পর্তুগিজ কাউন্সিল ফর পিচ অ্যান্ড কো-অপারেশনের আহ্বানে ফিলিস্তিনের পক্ষে ‘মুভমেন্ট ফর দ্য রাইট অফ দ্য প্যালেস্টাইন’ ব্যানারে সোমবার বিকেল ৬টা থেকে লিসবনের মার্টিম মুনিজ পার্ক ও পোর্তোর প্রাচা দা প্যালেস্টাইন নামক স্থানে একযোগে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের টানা ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে চলমান প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশর অংশ হিসেবে পর্তুগালে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে স্থানীয় মানুষসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, সমাজকর্মীসহ বিপুলসংখ্যক অভিবাসীদের সঙ্গে বাংলাদেশিরাও অংশগ্রহণ করে।
পর্তুগালে লকডাউন পরবর্তী অন্যতম বড় প্রতিবাদ সভা ও গণজমায়েত এটি যেখানে নারী পুরুষ নির্বিশেষে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, বেনার, ফেস্টুন ও ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে। তাছাড়া ইসরায়েলি বর্বরতার নানা চিত্র বিভিন্ন প্রতিকী অংকের মাধ্যমে নিন্দা জানানো হয়।
Advertisement
এ সময় উপস্থিতরা ফিলিস্তিনি ও নিজ নিজ দেশের পতাকা নিয়ে সংহতি জানাতে দেখা যায়। বিক্ষোভকারীরা স্লোগানে স্লোগানে ইসরায়েলি বাহিনীর অবৈধ ও অমানবিক আচরণ এবং হামলার নিন্দা জানিয়ে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি ভালোবাসা ও পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। তাছাড়া স্বাধীন ফিলিস্তিনের জন্য সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
তাছাড়া ইসরায়েলি বর্বর বাহিনী গাজায় একটি মিডিয়া ভবনসহ অসংখ্য আবাসিক ভবনে বিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় উড়িয়ে দিয়েছে যার ফলে শিশু নারী পুরুষসহ অসংখ্য সাধারণ মানুষ নিহত ও হতাহত হয়েছে। সভায় উপস্থিত সকলে গাজায় ইসরায়েলি হামলাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার এবং লিসবন মাতৃ মনিজ জামে মসজিদসহ বাংলাদেশিদের অসংখ্য সামাজিক, রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক সংগঠন এতে অংশগ্রহণ করে।
এ সময় কমিউনিটি নেতারা জানান, মুসলিম হিসেবে নয় বরং একজন মানুষ হিসেবে আজ আমরা মানবতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছি। ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাথে সকলে একাত্মতা ঘোষণা করেন।
Advertisement
উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ইসলামি সেন্টার লিসবন বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের সভাপতি তাসলিম উদ্দিন রানা, খতিব অধ্যাপক আবু সাইদ, মাতৃ মনিজ জামে মসজিদের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, সেক্রেটারি সাজিদ আহমেদ, পর্তুগাল আওয়ামীলীগ নেতা জহুরুল আলম জসিম, মঈন উদ্দিন আহমেদ, মুকিতুর রহমান সেলিম, কামরুল ইসলাম, রাজিব আল মামুন, জাকির হামিদী, তানভীর আলম জনিসহ অনেকে।
এদিকে পর্তুগালের বাণিজ্যিক নগরী পোর্তোতে স্থানীয় মানবাধিকার ও রাজনৈতিক সংগঠন সমূহ প্রতিবাদ ও সংহতি সভায় উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে অন্যতম সি জি টি, ব্লোকো ডি এসকেরডা, এম ডি পি, পি সি পি, এবং বাংলাদেশ কমিউনিটি অব পোর্তো অন্যতম।
পোর্তো বাংলাদেশ কমিউনিটির ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মোশাররফ হোসেন, মনির আহমেদ, চঞ্চল মাহমুদ, বুলবুল আহমেদ, কপিল উদ্দিন ভূঁইয়া, জাফরুল, আব্দুর রাজ্জাক, বাহারুল ইসলাম, আব্দুল মমিন, নবিউল হক, ইমন মিয়া, আজির আহমেদ, রানা সিকদার প্রমুখ।
এমআরএম/জিকেএস