গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম যেভাবে স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি তুলে ধরেছেন, সেজন্য তাকে গ্রেফতার না করে বরং স্বাধীনতা পদক দেয়া উচিত। আমরা রোজিনা ইসলামের দ্রুত মুক্তি চাই।’
Advertisement
মঙ্গলবার (১৮ মে) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এ কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে সংহতি জানিয়ে বক্তৃতা করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
সমাবেশে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও ছাত্র, যুব, শ্রমিক পরিষদের সমন্বয়ক নুরুল হক নুর বলেন, ‘দেশের অন্য সব সাংবাদিকের মনে ভয় ঢুকাতেই রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা করা হয়েছে।’
রোজিনা ইসলামকে গ্রেফতারের পর সাংবাদিক নেতাদের ভূমিকার সমালোচনা করে নুর বলেন, ‘কয়জন সাংবাদিক নেতা রোজিনার মুক্তির জন্য সোচ্চার হয়েছেন? দেশের একটি প্রথম সারির পত্রিকার একজন সিনিয়র সাংবাদিককে সচিবালয়ে আটকে রেখে হেনস্তা করে এভাবে মামলা দেয়া হলো, কয়জন সাংবাদিক নেতা থানায় এসেছেন? প্রতিবাদ করেছেন? সাংবাদিকদের বলব- দলদাস, দলাকানা দালালদের আপনাদের নেতা বানাবেন না। ওরা আপনাদের স্বার্থ বিক্রি করে, যেমনিভাবে বিক্রি করেছে সাগর-রুনি হত্যার ন্যায়বিচার।’
Advertisement
এ সময় রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে দাবি জানান নুর। একইসঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে মুক্ত সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধকতা দূর করার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
কর্মসূচিতে ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে কেউ নিরাপদ নয়। সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী যারাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন লেখালেখি করেন, তাদের হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে আটক করা হয়। ছাত্র অধিকার পরিষদ রোজিনা ইসলামের মুক্তি ও তাকে নির্যাতনে জড়িতদের বিচারে আওতায় আনার দাবি জানায়।’
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন ছাত্র পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, যুব পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক রহমান, আরিফুর রহমান, সদস্য সচিব মঞ্জুর মোর্শেদ এবং শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান ও সদস্য সচিব আরিফ হোসেন। এসময় দলের দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আল-সাদী ভূঁইয়া/এএএইচ/জিকেএস
Advertisement