আন্তর্জাতিক

সাংবাদিক রোজিনাকে গ্রেফতারের খবর বিশ্ব মিডিয়ায়

দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে গ্রেফতারের খবর শুধু দেশের মধ্যেই নয়, তোলপাড় সৃষ্টি করেছে বিদেশেও। সচিবালয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে তার হেনস্তার শিকার হওয়ার খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট রোজিনা ইসলামকে নিয়ে সংবাদের শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশ অ্যারেস্টস জার্নালিস্ট নোন ফর আনআর্থিং গ্রাফট’ অর্থাৎ ‘দুর্নীতির প্রকাশ্যে আনার জন্য খ্যাত সাংবাদিককে গ্রেফতার করল বাংলাদেশ’।

Advertisement

মার্কিন সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনের সূচনায় বলা হয়েছে, দাফতরিক দুর্নীতির শক্তিশালী প্রতিবেদনের জন্য সুপরিচিত বাংলাদেশের একজন সাংবাদিককে ঔপনিবেশিক যুগের সরকারি গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ আইনে সম্ভাব্য সাজা মৃতদণ্ডও হতে পারে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা শিরোনাম করেছে, ‘রোজিনা ইসলাম: বাংলাদেশ অ্যারেস্টস জার্নালিস্ট ফর কোভিড রিপোর্টিং’ (রোজিনা ইসলাম: কোভিড নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জন্য সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ)।

সংবাদের ভেতরে তারা বলেছে, করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় দেশের পদক্ষেপ নিয়ে শক্ত প্রতিবেদন লেখা অনুসন্ধানী নারী সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ, যার প্রতিবাদে শত শত সাংবাদিক বিক্ষোভ শুরু করেছেন। সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, সরকারি গোপনীয়তা আইনে গ্রেফতার রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, এমনকি মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে।

Advertisement

মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) ঔপনিবেশিক আইনে রোজিনা ইসলামকে গ্রেফতারের খবর প্রকাশ করেছে। এ নিয়ে তাদের শিরোনাম ‘বাংলাদেশ অ্যারেস্টস জার্নালিস্ট নোন ফর আনআর্থিং গ্রাফট’ (দুর্নীতি প্রকাশের জন্য খ্যাত সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ)।

এপির বরাতে একই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে ইয়াহু নিউজ, কানাডার সরকারি বার্তা সংস্থা দ্য কানাডিয়ান এজেন্সি, দুবাইভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ, অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ এবং ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।

এছাড়া বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে রোজিনা ইসলামকে গ্রেফতারের খবর প্রকাশ করেছে ভারতের আরেক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

তাদের প্রত্যেকের সংবাদেই প্রায় একশ বছরের পুরোনো আইনে একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিককে গ্রেফতারের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

Advertisement

কেএএ/এমকেএইচ