হবিগঞ্জের লাখাইয়ে সুস্থ দাঁত তুলে ফেলার অভিযোগ উঠেছে দন্তচিকিৎসকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই চিকিৎসককে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রোগী মনিরুল ইসলাম থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
Advertisement
মনিরুল ইসলাম উপজেলার বামৈ পূর্ব গ্রামের বাসিন্দা। আটক দন্তচিকিৎসক সাব্বির হোসেন একই উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে। তিনি বামৈ বড় বাজারে ‘মা ডেন্টাল’ নামে একটি দন্তচিকিৎসালয় পরিচালনা করেন।
অভিযোগে জানা যায়, মনিরুল ইসলাম নামের ওই রোগীর দাঁতে সমস্যা হলে গত ১৬ এপ্রিল তিনি মা ডেন্টালের চিকিৎসক সাব্বির হোসেনের কাছে যান। ওই চিকিৎসক তাকে নতুন একটি দাঁত লাগিয়ে দেন। গত পাঁচ-ছয়দিন ধরে দাঁতটি নড়াচড়া করলে তিনি শনিবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় চিকিৎসক সাব্বিরকে বিষয়টি জানান। সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে রোগীর আক্রান্ত স্থান অবশ না করেই ক্যাপ খোলার দীর্ঘ চেষ্টা করেন তিনি। ওই সময় রোগী তীব্র ব্যথা হচ্ছে বলে জানালে চিকিৎসক সাব্বির রোগীর তিনটি দাঁতের গোড়ায় মোট তিনটি ব্যথানাশক ইনজেকশন প্রয়োগ করেন। এরপর ওই রোগীর অসুস্থ দাঁতসহ সুস্থ আরও দুটি দাঁত তুলে আনেন। সঙ্গে সঙ্গে অবস্থা বেগতিক দেখে ওই চিকিৎসক তার দোকান বন্ধ করে সটকে পড়েন।
এ বিষয়ে দন্তচিকিৎসক সাব্বির হোসেন জানান, অসাবধানতাবশত এরকম হয়েছে। তিনি ওই রোগীর তিনটি দাঁতে পুনরায় ক্যাপ লাগিয়ে দেবেন। কিন্তু ওই রোগী রাজি হননি। এসময় তিনি ওই রোগীর কাছে এক হাজার ৫০০ টাকা পাওনা আছে বলেও জানান।
Advertisement
এ ব্যাপারে পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মহিউদ্দিন সুমন জানান, অভিযুক্ত চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি সমাধান না হলে নিয়মিত মামলা নিয়ে তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এসআর/এএসএম