এভিন লুইসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ঢাকা ডায়নামাইটসকে উড়িয়ে দিয়েছে বরিশাল বুলস। এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ঢাকাকে দাঁড়াতেই দেননি এই টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট। তার ব্যাটিং ঝড়ে নয় উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে দলটি। ফলে পাঁচ ম্যাচে চার জয়ে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এলো বরিশাল।টি-টোয়েন্টি মানেই ধুম ধারাক্কা ব্যাটিং। গাঁটের পয়সা খরচ করে বিপিএলে খেলা দেখতে দর্শকদের যেন মন ভরছিল না। এদিন স্বদেশি ক্রিস গেইলদের মতো চার-ছক্কা হাঁকিয়ে দর্শকদের সে প্রত্যাশা পূরণ করে দিলেন এভিন লুইস। রায়ান টেন ডেসকাটের করা ১২তম ওভারে ২৬ রান তুলে নেন এই ক্যারাবিয়ান। ৩টি ছক্কা এবং ২টি চার মেরে দর্শকদের উল্লাসে ভাসান তিনি।টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৫৯ রানের লড়াকু সংগ্রহ ছুড়ে দিয়েছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। কিন্তু লুইসের ব্যাটিং ঝড়ে দিন শেষে সেই সংগ্রহ মামুলি হয়ে দাঁড়ালো। তাকে যৌগ্য সঙ্গ দিয়েছেন ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দেয়া রনি তালুকদার। উদ্বোধনী জুটিতে এই দুই ব্যাটসম্যান ১২৭ রান করে দলকে জয়ের শক্ত ভিত গড়ে দেন।তবে ১৪তম ওভারে আবুল হোসেন রাজু বরিশাল শিবিরে আঘাত হানলে দশ উইকেটে হারের লজ্জা থেকে মুক্তি পায় ঢাকা। থিরামান্নের ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফিরে যান রনি। আউট হওয়ার আগে ৩৪ বলে ৩টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৮ রান করেন এই ওপেনার। এরপর বাকি রানটুকু তরুণ মেহেদী মারুফকে নিয়ে হেসে-খেলেই তুলে নেন লুইস।৩৯ বলে অর্ধশত তুলে নেয়ার পর সেঞ্চুরির বাকি রান মাত্র ২৫ বলে তুলে নেন লুইস। শেষ পর্যন্ত ১৮ দশমিক ৪ ওভারে দলকে জিতিয়ে ১০১ রান করে মাঠ ছাড়েন এই ক্যারাবিয়ান। ৬৫ বল মোকাবেলা করে ৭টি চার এবং ৬টি ছক্কার সাহায্যে এই রান তুলে নেন এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান।এর আগে, মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সৈকত আলীকে সঙ্গে নিয়ে ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নামেন দলীয় অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা। এই দুই ব্যাটসম্যান ধীর গতিতে ভালো সূচনা এনে দেন দলকে। দলীয় ২৭ রানে সৈকতকে ফিরিয়ে বরিশালের হয়ে ঢাকা শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন কেভিন কুপার। সৈকতের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে ফিরে যান থিরামান্নে, নাসির এবং আবুল।তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে রায়ান টেন ডেসকেটকে নিয়ে ৫৯ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান সাঙ্গাকারা। দলীয় ১৩২ রানে সাঙ্গাকারাকে ফেরান কুপার। অধিনায়ককে হারালেও ওয়ালারকে নিয়ে দলকে টেনে নিয়ে যান ডেসকাট। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে ঢাকা ডায়নামাইটস।দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন তিনি। ৪৭ বলে মোকাবেলা করে ৭টি চারের সাহায্যে এই রান করেন এই লঙ্কান লিজেন্ড। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে ডেসকাটের ব্যাট থেকে। ৩২ বলে ১টি চার এবং ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪৫ রান করেন এই ডাচ তারকা।বরিশালের পক্ষে ২৩ রান দিয়ে ২টি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার প্রসন্ন। কুপার ২টি উইকেট নেন ৩০ রান দিয়ে। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ ১টি উইকেট পান।আরটি/বিএ
Advertisement