জাতীয়

দিনে রোদ রাতে বৃষ্টি, মানুষ কম দ্রুতযানের ছুটোছুটি

ঈদের দ্বিতীয় দিন শনিবার (১৫ মে) রাজধানী ঢাকা ছিল অনেকটা ফাঁকা। দিনভর ভ্যাপসা গরমে রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। আর বিকেল ও সন্ধ্যার বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটে সুনসান নীরবতা নেমে আসে।

Advertisement

ঈদ ও পরবর্তী দু-একদিন সাধারণত আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া, ছোটবড় নির্বিশেষে বন্ধুদের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে বের হওয়া, উদ্যান কিংকা রেস্টুরেন্টে আড্ডা দেয়ার রীতি থাকলেও বর্তমান করোনা মহামারির কারণে কার্যত সবাই ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে।

ঈদ উপলক্ষে লাখ লাখ মানুষ গ্রামে চলে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে ঢাকায়। ফলে ঈদের দ্বিতীয় দিনেও রাস্তাঘাট ছিল অনেকটাই ফাঁকা। রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় বাস, প্রাইভেটকার, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনকে দ্রুতবেগে গন্তব্যে ছুটে যেতে দেখা যায়।

শনিবার দিন ও রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দিনের বেলায় করোনা সংক্রমণের ভয়ের পাশাপাশি ভ্যাপসা গরম এবং বিকেলে ও সন্ধ্যায় ঝুম বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাটে লোকজন ছিল খুবই কম। ফাঁকা রাস্তা পেয়ে গরমের মধ্যেও যারা ঘুরতে বেরিয়েছেন তারা স্বল্প সময়ে গন্তেব্যে পৌঁছে যান।

Advertisement

রাজধানীর লালবাগের বাসিন্দা আমির হোসেন সপরিবারে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে উত্তরায় যান। তিনি জানান, সাধারণত যানজটের কারণে উত্তরা যেতে দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় লাগলেও শনিবার ফাঁকা ঢাকায় মাত্র ২৫ মিনিটে পৌঁছে যান।

ফাঁকা রাস্তার কারণে বিভিন্ন রাস্তার সিগন্যালে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশকে ব্যতিব্যস্ত দেখতে পাননি বলে জানান তিনি। এমন ফাঁকা রাস্তা সবসময়ই থাকলে ভালো হতো বলে মন্তব্য করেন।

বিকেল থেকেই আকাশ মেঘলা হয়ে আসে। গরমের পর বৃষ্টিতে স্বস্তি নেমে এলেও যারা ঘুরতে বের হয়েছিলেন তারা কাকভেজা হন। সন্ধ্যার পর আরেক দফা বৃষ্টি নামলে রাস্তাঘাট আরও ফাঁকা হয়ে যায়। রাতের ঢাকার ফাঁকা রাস্তায় শুধু দ্রুতগামী যানবাহনকে ছুটতে দেখা যায়।

এমইউ/বিএ/জিকেএস

Advertisement