ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তিনজনের শরীরে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ নামক ছত্রাকের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর আগে দেশটিতে এই ছত্রাক পাওয়া গেলেও পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম ধরা পড়ল। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
Advertisement
জানা যায়, সপ্তাহখানেক আগে ঝাড়খণ্ড থেকে দু’জন এবং বিহার থেকে একজন পশ্চিমবঙ্গে চোখের চিকিৎসা করাতে আসেন। তাদের শরীরেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ঝাড়খণ্ড থেকে যারা এসেছিলেন তাদের বয়স যথাক্রমে ৩৫ ও ৫০ বছর এবং বিহার থেকে এসেছিলেন ৪০ বছরের এক ব্যক্তি। চোখের সমস্যা নিয়ে প্রথম দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান দু’জন। ওই হাসপাতালেরই নিউটাউনের শাখায় যান তৃতীয়জন।
চোখের পরীক্ষার সময়ই জানা যায়, তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তারপরই পরীক্ষা করে তাদের শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। সাধারণত করোনা আক্রান্তদের শরীরেই এই ছত্রাক পাওয়া যাচ্ছে।
মহামারি পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে ব্যাপকভাবে এই ছত্রাকের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন এইমস অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া।
Advertisement
আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়েছিলেন, যারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় শরীরে সহজে বাসা বাঁধছে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’। একে ‘মিউকরমাইকোসিস’-ও বলা হয়।
শনিবার (১৫ মে) এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া জানান, সাধারণত খাবার, মাটি ও বাতাস থেকেই এই সংক্রমণ মানুষের শরীরে ছড়ায়। সেই কারণেই মাস্ক পরায় আরও বেশি করে গুরুত্ব দিতে বলেন তিনি। বিশেষ করে যেখানে ধুলো বেশি সেখানে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দিল্লির এইমস হাসপাতালে ২৩ জন এই রোগ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। যাদের মধ্যে ২০ জনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। ২০০৩ সালের সার্স সংক্রমণের সময়েও ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন অনেকে, জানান গুলেরিয়া। তিনি জানান, রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না রাখলে এবং প্রয়োজনের বেশি স্টেরয়েড নিলে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ে।
ইতোমধ্যে গুজরাট, দিল্লি, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রসহ মোট পাঁচ রাজ্যে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে এবার পশ্চিমবঙ্গও এই তালিকায় নাম লেখাল।
Advertisement
এআরএ/এমএস