সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এমন সময়ে এসে পাকিস্তানের দল নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ওয়াহাব রিয়াজ। ৩৫ বছর বয়সী এই অভিজ্ঞ পেসার একইসঙ্গে আবার জানালেন, বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার ইচ্ছের কথাও।
Advertisement
ওয়াহাব মনে করেন, পাকিস্তানের ক্রিকেটে একটা সংস্কৃতি আছে, এক বা দুই ম্যাচের পারফরম্যান্স দেখেই খেলোয়াড়কে যাচাই করা হয়। সেইসঙ্গে খেলোয়াড়দের সঙ্গে টিম ম্যানেজম্যান্ট ও বোর্ড কর্তাদের যোগাযোগের অভাবকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার।
সম্প্রতি ‘ক্রিকেট পাকিস্তান’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়াহাব বলেন, ‘আপনি পুরোপুরি টিম ম্যানেজম্যান্টের দোষ দিতে পারবেন না। আমরা খেলোয়াড়রাও কিছু ভুল করে থাকি পারফরম্যান্সের বেলায়। তবে আমি মনে করি, একজন খেলোয়াড়কে একটি বা দুটি ম্যাচ দিয়ে যাচাই করা ঠিক নয়। শুধু আমাদের বেলায়ই নয়, সবার বেলায়ই। কিন্তু পাকিস্তানের ক্রিকেটে এই রীতিটা আছে।’
সব খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ারেই খারাপ সময় আসে, কিন্তু সবসময় যদি তারা সমর্থন পায়, তবে সেরা পারফরম্যান্স বেরিয়ে আসে বলে মনে করেন ওয়াহাব। তার কথা, ‘আমার মনে হয়, কোনো খেলোয়াড়ের অতীত পারফরম্যান্স এবং কঠোর পরিশ্রমের বিষয়টিও মাথায় রাখা উচিত। সবারই ভালো-খারাপ দিন যায়। একজন খেলোয়াড় ভালো-খারাপ সব সময়ই সমর্থন পেলে তার সেরাটা দিতে পারে। আমার মনে হয় এই জায়গায় আমাদের উন্নতি করতে হবে।’
Advertisement
ওয়াহাবের মতে, দল থেকে বাদ দেয়ার আগে একজন খেলোয়াড়কে কারণটাও পরিষ্কারভাবে জানানো উচিত। কিংবা কাকে নিয়ে কি পরিকল্পনা সেগুলো পরিষ্কার করে বললে লক্ষ্য সাজাতে সুবিধা হয়।
পাকিস্তানের বর্ষীয়ান এই পেসারের ভাষায়, ‘যোগাযোগটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। খেলোয়াড়দের একটা প্রশ্ন সবসময় থাকে, কেন আমি বাদ পড়লাম। যদি তাদের ব্যাখ্যাটা জানানো হয়, তবে বাস্তবতা বুঝতে পেরে তারা কঠোর পরিশ্রম করতে পারবে। এটা অনেক কিছু বদলে দিতে পারে। যদি কোনো খেলোয়াড় দীর্ঘদিনের পরিকল্পনায় না থাকে, সেটাও জানানো উচিত। তাদের কাছে পরিষ্কার বার্তা পাঠানো উচিত, তবে সেরা পারফরম্যান্স পাওয়া যাবে।’
সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের ওপর ভরসা করা উচিত বলে মত ওয়াহাবের। কেননা সেখানে অনেক চাপ থাকে। আসন্ন বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে নিজেও ভীষণ পরিশ্রম করছেন জানালেন বাঁহাতি এই পেসার।
এমএমআর/এমএস
Advertisement