ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিন কুয়াকাটায় ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকরা। লকডাউন সত্ত্বেও শনিবার (১৫ মে) সকাল থেকে ইকোপার্ক সংলগ্ন ঝাউবাগান পয়েন্টসহ সি-বিচে পর্যটকের আনাগোনা বেড়েছে।
Advertisement
গত ১ এপ্রিল থেকে করোনা সংক্রমণরোধে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। এরপরও হঠাৎ করে ঈদের দিন শুক্রবার (১৪ মে) দুপুর থেকে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সৈকতে ভিড় জমায় হাজারও পর্যটক। পর্যটক ঠেকাতে শনিবার (১৫ মে) সকাল থেকেই কুয়াকাটার চৌরাস্তাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে বেরিকেট দেয় ট্যুরিস্ট পুলিশ।
বরিশাল থেকে আসা এক পর্যটক জাগো নিউজকে জানায়, ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে কুয়াকাটায় এসেছি। ভেবেছিলাম তেমন পর্যটক থাকবে না। তবে এসে দেখি ভালোই পর্যটক আছে।
বরগুনা থেকে আসা পর্যটক রুতুল জানান, মোটরবাইকে বন্ধুদের নিয়ে কুয়াকাটা সৈকতে এসেছি। হোটেল বন্ধ তাই বিকেলেই চলে যাব।
Advertisement
পটুয়াখালী থেকে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পর্যটক জাগো নিউজকে জানায়, পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। সৈকতে এসে খুব ভালো লাগছে। লকডাউনে কুয়াকাটা নতুন রূপে সেজেছে।
কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শক বদরুল কবির জাগো নিউজকে বলেন, সৈকতে পর্যটক ছিল, তবে এখন কম। পর্যটকদের ফিরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। সৈকত তো বেশ বড়, তাই সুযোগ পেলেই পর্যটক নেমে পড়ছেন। লোকবল কম থাকায় পুরো সৈকত নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জাগো নিউজকে বলেন, যেহেতু থাকার ব্যবস্থা নেই তাই পর্যটকরা এসে আবার চলে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে তারা চলে যায় সেজন্য টুরিস্ট ও থানা পুলিশ কাজ করছে।
এএইচ/জিকেএস
Advertisement