অর্থনীতি

ক্রেতা নেই তবুও সবজির দাম চড়া

ঈদুল ফিতরের পরের দিন কাঁচাবাজারে অধিকাংশ দোকান বন্ধ, ক্রেতাদের খুব একটা আনাগোনাও নেই। তারপরও সবজির দাম চড়া।শনিবার (১৫ মে) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। দাম বাড়ায় যারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে এসেছেন, তারা পড়েছেন ভোগান্তিতে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কয়েকদিন লেগে যাবে।

Advertisement

রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার কাওরান বাজার, ঈদের দ্বিতীয় দিন সেখানে নেই মানুষের তেমন ভিড়। বাজারে ক্রেতার সংখ্যা হাতেগোনা। তাই ক্রেতা-বিক্রেতাদের চিরচেনা সেই হাঁকডাক লক্ষ করা যায়নি। তারপরও এ বাজারে পাইকারিতে কাঁচা মরিচ, পেঁপে, গাজর, করলা, কাকরোলসহ বিভিন্ন পণ্যের চড়া দাম লক্ষ করা গেছে।

আড়তদাররা বলছেন, ঈদের দিন অনেকেই মোকাম করেননি। গ্রাম থেকে সবজি আসছে না। এ কারণে দাম বেড়ে গেছে।

এদিকে খুচরা বাজারে এক কেজি পেঁপের দাম উঠেছে ৮০ টাকায়। ঈদের আগে যে কাঁচা মরিচ ৮০ টাকায় বিক্রি হতো, তা এখন ১২০ টাকা কেজি। একইভাবে গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। কাচা কলার হালি ৪০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা।

Advertisement

শুধুপটল আর ভেন্ডি (ঢেঁড়স) ছাড়া অন্যান্য যেকোনো সবজির দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুধু পটল আর ভেন্ডির দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে।

মালিবাগ বাজারের ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আড়তে সকল ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। এর মধ্যে পেঁপে, কাঁচা মরিচ ও কলার দাম বেড়েছে বেশি। মরিচের দাম একরাতে দ্বিগুণ হয়ে গেছে।’

ক্রেতা কমলেও তার প্রভাব পণ্যের দামের পড়েনি কেন-এমন প্রশ্নের জবাবে রামপুরা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মোখলেস বলেন, ‘রাস্তায় যানজট ও বাজারে ব্যবসায়ী কম থাকায় প্রতিবছরই ঈদের পর মালের দামে হেরফের হয়। বাজারে ক্রেতা যে তুলনায় কম, তার চেয়েও আরও কম মালের সরবরাহ। কয়েকদিন গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

এদিকে বিভিন্ন বাজারে প্রায় অধিকাংশ দোকান বন্ধ দেখা গেছে। দু-একদিন পর থেকে রাজধানীতে মানুষ পুরোদমে ফিরতে শুরু করলে বাজার আবার জমে উঠবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

Advertisement

বাজারে গরুর মাংসের বেচা-বিক্রি কিছুটা কমলেও দাম কমেনি। প্রতিকেজি মাংস ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

কারওয়ান বাজারের মুরগীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, অলস সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতা নেই, তবে দাম ঈদের আগের বাজারের মতো। ফার্মের মুরগি ১৫০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৬০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৪০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারেও একই চিত্র। বাজার ঘুরে দেখা যায়, ইলিশ মাছ ৭০০ থেকে এক হাজার টাকায়, চিংড়ি মাছ ৬০০ টাকা, পাবদা মাছ ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৬০ টাকা, বড় রুই-কাতলা মাছ ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছ ব্যবসায়ী হাকিম বলেন, ‘ঈদের পর মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে। নদীতে পর্যাপ্ত মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। আরতে মাছের সরবরাহ কম।’

এনএইচ/ইএ/এমকেএইচ