দেশজুড়ে

ছাগলে সফল তিন বন্ধু

নওগাঁয় ছাগল পালন করে সফলতা পেয়েছেন তিন বন্ধু। সদর উপজেলার বর্ষা ইউনিয়নের মকমলপুর গ্রামের মাঠে গড়ে তোলা হয়েছে উন্নত জাতের ব্ল্যাকবেঙ্গল ছাগল। বর্তমানে খামারে বড়-ছোট মিলিয়ে প্রায় শতাধিক ছাগল আছে।

Advertisement

মকমলপুর গ্রামের এই তিন বন্ধু হলেন-ইসরাইল হোসেন, লিটন হোসেন ও সাখাওয়াত হোসেন (প্রবাসী)। সাখাওয়াত দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। ইসরাইল ও লিটন খামার দেখাশুনা করেন।

কথা বলে জানা যায়, ইউটিউবে পশু পালনে বিভিন্ন সফলতার গল্প দেখে উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ জাগে ইসরাইল হোসেনের। এরপর অপর দুই বন্ধুর সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করেন। তারাও ছাগল পালনে আগ্রহ দেখান। ৯ মাস আগে মকমলপুর গ্রামের মাঠে গড়ে তোলা হয় খামার। সেখানে উন্নতজাতের ব্ল্যাকবেঙ্গল জাতের ৬০টি ছাগল দিয়ে শুরু করেন ছাগল পালন। প্রজননের জন্য খামারে একটি পাঁঠাও রাখা হয়েছে।

তিন মাস পর ২০টি ছাগল ৫-৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি করা হয়। খামার তৈরিতে চার লাখ টাকার বেশি খরচ হয়। বর্তমানে খামারে বড়-ছোট মিলিয়ে শতাধিক ছাগল আছে। এরমধ্যে বড় ছাগল ৪০টি ও বাচ্চা ৬০টি। বাচ্চার মধ্যে ২০টি ছাগল ও বাকিগুলো ছাগী। গত শীতে বাচ্চা জন্মের ২০-২৫ দিনে মধ্যে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় ২৫টির বাচ্চা মারা গেছে। ছাগলের খাওয়ার জন্য দেড় বিঘা জমিতে নেপিয়ার ঘাস চাষ করা হয়েছে।

Advertisement

উদ্যোক্তা ইসরাইল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘বেকার বসে না থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ জাগে। ইউটিউবে দেখা যায় পশু পালন করে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন। সেখান থেকেই ছাগল পালনে আগ্রহ হয়। প্রথম দিকে ছাগল পালনে কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হলেও পরে ঠিক হয়েছে। বর্তমানে দানাদার খাবার ভুসি ও আটার দাম বেশি। খড়ের দামও বেশি। প্রতিমাসে প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। এ কারণে দানাদার খাবার কমিয়ে দিয়ে ঘাস বেশি দেয়া হচ্ছে। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া হয়। প্রয়োজনে প্রাণিসম্পদের পরামর্শ ও চিকিৎসা নেয়া হয়।’

উদ্যোক্তা লিটন হোসেন বলেন, আগে রাজমিস্ত্রির কাজ করতাম। ময়মনসিংহ জেলায় কাজ করার সময় কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের পাশে পশু পালনের ওপর এক ঘণ্টার একটা প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। প্রশিক্ষণটা অনেক কাজে দিয়েছে।

তিনি বলেন, গত শীতে খামারে তাপমাত্রার ভারসাম্য ঠিক না থাকায় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেক বাচ্চা মারা গেছে। উৎপাদনের মূল যে লক্ষ্য সেটাই হাতছাড়া হয়ে গেছে। এতে প্রায় দুই লাখ টাকার মতো লোকসান হয়েছে। তবে বর্তমানে খামারে যে পরিমাণ ছাগল আছে, আর কোনো ধরনের অসুবিধা না হলে লাভবান হব ইনশাল্লাহ।

আব্বাস আলী/এসআর/এমকেএইচ

Advertisement