ফারাজী আজমল হোসেন
Advertisement
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি তরুণদের নানা উদ্যোগ আর প্রচেষ্টায় এ পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিয়ে মূল কাজটি করে যাচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে স্বপ্ন থেকে বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণা করে তখন অনেকের কাছেই বিষয়টি ছিলো হাস্যকর 'আষাঢ়ে স্বপ্ন'। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি বেশ কিছু সংস্থা ও গণমাধ্যম এই রূপকল্পের সমালোচনা করে বলেছিলো, 'আওয়ামী লীগ দিবা স্বপ্ন দেখছে এবং দেখাচ্ছে'। কিন্তু তাদের সকল কথা ভুল প্রমাণিত করে আজ বিশ্ব জুড়ে প্রশংসিত বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাত। এ জন্য অবশ্য ২০১০ সাল থাকা দৃঢ়ভাবে কাজ করে যেতে হয়েছে সরকারকে। শেখ হাসিনার পাশাপাশি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন নিয়ে এগিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে বিনা বেতনে কাজ করছেন তিনি। কোন লাভের আশায় নয়, বরং বাংলাদেশের তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরির উদ্যোগ হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। প্রচার বিমুখ সজীব ওয়াজেদের পরামর্শ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ তথ্য-প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে নতুন এক পরিচিতি পাচ্ছে বিশ্ব জুড়ে।
২০০৯ সালের শেষ ভাগে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে তখন দেশে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের মত কোন উদ্যোগই ছিলো না। সবচাইতে বড় বিষয় হলো দেশে তখন পর্যাপ্ত ইন্টারনেট সরবরাহ ব্যবস্থাই ছিলো না। মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নিম্ন গতি এবং অনেক বেশি খরচ হওয়ায় অধিকাংশ মানুষ ছিলো ইন্টারনেট সেবার বাইরে।অথচ বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ সংস্থা মনে করে বেঁচে থাকার মৌলিক উপাদানগুলোর মধ্যে ইন্টারনেট সংযোগ থাকাটাও গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামী লীগ বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণা করে। এই রূপকল্প অনুসারে দেশের প্রতিটি উপজেলায় এবং ধীরে ধীরে গ্রাম পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ হ্রাসসহ আরো বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করে সরকার। ২০০৯ সালে বাংলাদেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিলো ৬ লাখ ১৭ হাজার, যা দেশের জনসংখ্যার মাত্র ০.৪%। কিন্তু ২০২১ সালে ১১ কোটির বেশি যা দেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭০ ভাগ। শুধু ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই ইন্টারনেট গ্রাহক বেড়েছে ২৯ লাখ। ফলে মোট গ্রাহক দাঁড়ায় ১১ কোটি ১১ লাখে। এর মধ্যে মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রায় ১০ কোটি ২৫ লাখ। আর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগকারী রয়েছেন ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার!
Advertisement
শুধু ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নয়, সেই সঙ্গে বেড়েছে মুঠোফোন গ্রাহক। দেশে মুঠোফোনের গ্রাহক রয়েছে ১৭ কোটির বেশি যা ২০০৭ সালের জুলাইয়ে ছিলো তিন কোটি! মোবাইল অপারেটরদের কলরেট ৭ টাকা থেকে কমিয়ে বর্তমানে কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতি সেকেন্ডে ১ পয়সা কলরেটও উপভোগ করছে মানুষ। সব মিলিয়ে মুঠোফোন সেবার সর্বোচ্চটাই পাচ্ছে দেশের মানুষ।
ইউনেস্কোসহ বিশ্বের বেশ কিছু সংস্থার তথ্যানুসারে প্রতি ১০০ ইন্টারনেট গ্রাহক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ৭টি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়। বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য এ কারণেই ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পকে বেছে নিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ। তিনি বলেন, 'একজন মানুষকে একটি মাছ দান করলে সে এক বেলা খেতে পারবে। একবার উপকার করা হবে। কিন্তু তার বদলে তাকে মাছ ধরা শিখিয়ে দিলে আজীবন সে এই সুবিধা উপভোগ করবে।' আর সে কারণেই ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য ইন্টারনেট সেবার বিস্তারের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হয়। তরুণ ও যুবকদের আইসিটি বিষয়ক ট্রেনিং-য়ের জন্য দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে প্রাথমিকভাবে যুব উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এর পাশাপাশি কারিগরী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় স্কুল ও কলেজ ভিত্তিক। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আইসিটি বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে দেশ জুড়ে ৫ হাজারের বেশি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের প্রতিটি বড় শহর এবং জেলা শহরগুলোতে নির্মাণ করা হচ্ছে হাইটেক পার্ক। এই হাইটেক পার্কগুলোতে ট্রেনিং প্রদানের পাশাপাশি তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর বিভিন্ন গবেষণা ও ব্যবসার কাজ করতে পারবে সাধারণ মানুষ। সেই সঙ্গে তথ্য-প্রযুক্তি বিষয় পরামর্শ প্রদানের জন্য এই স্থানগুলোতে থাকবে পরামর্শক। নতুন উদ্ভাবন নিয়ে ব্যবসা তৈরির ক্ষেত্রে তরুণদের অফিস নিয়ে যেন ভাবতে না হয়, সে কারণে এই হাইটেক পার্ক গুলো প্রাথমিকভাবে অফিসও সরবরাহ করবে স্টার্টআপগুলোকে।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টির কারণে বাংলাদেশের ডিজিটাল খাত দ্রুত উন্নতি করছে। কেননা এই খাতের উন্নয়নের পথে যে কোন বাঁধা এলে বা নৈতিক (পলিসি গত) পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে তাৎক্ষনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তথ্য প্রযুক্তিখাতকে গুরুত্ব দিয়ে এই খাতে আরো নতুন বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করার জন্য অনেক সুবিধা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। সেই সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরে তরুণদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করতে উদ্ভাবনে আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে। আইসিটি বিভাগের অধীনস্থ স্টার্টআপ বাংলাদেশ, হাইটেক পার্ক, আইডিয়া প্রজেক্ট এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। অন্যদিকে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমকে ডিজিটাল প্লাটফর্মে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এটুআই-এর মত প্রকল্প।
২০০৯ সালে বাংলাদেশে সরকারি কোন সেবাই ডিজিটাল মাধ্যমে ছিলো না। কিন্তু বর্তমানে সরকারি সকল দফতরের টেন্ডার থেকে শুরু করে প্রাথমিক সকল তথ্য মিলছে ওয়েব সাইটে। সেই সঙ্গে সরকারি সকল তথ্য যাচাই-বাছাই এবং সংরক্ষণ করা এবং এ সকল তথ্য গ্রহণের আবেদনের যাবতীয় কার্যক্রম থাকছে অনলাইনে। বিগত বছর প্রথমবারের মত মন্ত্রী পরিষদের বৈঠক থেকে শুরু করে দেশের বিচার কার্যক্রম এবং গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ও আলোচনার সবকিছুই হয়েছে অনলাইনে। পাসপোর্ট সেবা, ভোটার আইডি কার্ড বিষয়ক সেবা থেকে শুরু করে লকডাউনে বাহিরে যেতে পুলিশের অনুমতি পাশটির জন্যও এখন আবেদন করা যাচ্ছে অনলাইনে। দেশের যে কোন প্রান্তে বসে পুলিশ ভেরিফিকিশেনের জন্যও আবেদন করতে পারছে সকলে ঘরে বসে। বর্তমানে দেশে সরকারি কার্যক্রমের প্রায় ৬০ ভাগের বেশি সম্পন্ন হচ্ছে অনলাইনে। সেই সঙ্গে ভূমি বা জমি-জমা বিষয়ক কাজে স্বচ্ছতা ও গতি নিয়ে আসতে বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় কার্যক্রমও অনলাইনে নিয়ে আসা হচ্ছে। এর ফলে ভূমি দস্যুদের প্রভাব কমবে, বাঁচবে সাধারণ মানুষ।
Advertisement
করোনা মহামারীকালে নিরাপত্তা সেবা বা পণ্য সেবা পাওয়ার জন্যও সরকারের ঘোষিত ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করেছে মানুষ। ৯৯৯ বা ৬৬৬ -এ কল করে এই পরিসেবাগুলো গ্রহণ করা হয়েছে। গত বছর এই সেবা গ্রহণ করেছে প্রায় ১ কোটি মানুষ।
সরকারি বিভিন্ন কার্যক্রমের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেও ডিজিটালাইজেশনে গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। যে কারণে বর্তমানে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে গেছে প্রত্যেক গ্রাহকের হাতের মুঠোয়। অনলাইন ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, সহজ ফান্ড ট্রান্সফার থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল, গ্যাস বিল- সবই আজ অনলাইনে পরিশোধ করা হচ্ছে। যা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার ঘোষণা করা ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পের কারণে। দেশের অধিকাংশ ব্যাংকের বর্তমানে নিজস্ব মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রয়েছে। সব মিলিয়ে ব্যাংকিং খাতে যুগান্তকারী এক পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায়।
‘ডিজিটাল ইকোনমি রিপোর্ট-২০১৯’ অনুসারে বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার কাজ করছেন, যাদের মাধ্যমে প্রতিবছর দেশে ১০ কোটি ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আসছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু-বিভাগীয় গবেষণা ও শিক্ষাদান বিভাগ অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইন্সটিটিউট (ওআইআই) এর এক গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে যে অনলাইন শ্রমিক সরবরাহে বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার এর সংখ্যা বিশ্বে ১৬ শতাংশ। বাণিজ্য বিষয়ক পত্রিকা ফোর্বস এর তথ্যমতে ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয়ে এগিয়ে থাকা শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। ফ্রিল্যান্সিং আয়ে বাংলাদেশ এর অবস্থান অষ্টম এবং বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ২৭ শতাংশ। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আমরা শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখার জন্য লড়াই করছি। এই ফ্রিল্যান্সারদের আয় করা অর্থ এতদিন বাংলাদেশ জাতীয় আয়ে যুক্ত হতো না। কারণ এই অর্থ সম্পূর্ণ আসতো হুন্ডির মাধ্যমে। কিন্তু সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে বর্তমানে সরাসরি ব্যাংকে বা অন্য অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে তা সরাসরি ব্যাংকে আনা সম্ভব হচ্ছে। ফলে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা মার যাওয়ার ভয় যেমন কমে যাচ্ছে, সেই সঙ্গে জাতীয় রাজস্বতে যুক্ত হচ্ছে ফ্রিল্যান্সারদের এই আয়।
তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বেসরকারি উদ্যোগকে আকৃষ্ট করার মাধ্যমে বর্তমানে বাংলাদেশের নিজস্ব বেশ বড় কিছু স্টার্টআপ কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে পাঠাও ও সহজ এর মত প্রতিষ্ঠান। আশা জাগাচ্ছে এমন আরো ৪০০টির বেশি প্রতিষ্ঠান যারা বিদেশি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করছে দেশে। বর্তমানে দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতের আয় ১০০ কোটি ডলার। ২০২১ সাল নাগাদ এ আয় ৫০০ কোটি ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। বাংলাদেশ প্রযুক্তির বিকেন্দ্রীকরণ করছে। অর্থনৈতিক-সামাজিক উন্নয়নে প্রযুক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যে কাজ করছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলা বর্তমান সরকার। আশা করা হচ্ছে সিলিকন ভ্যালির মত বাংলাদেশেও একদিন গড়ে উঠবে টেক সিটি। বর্তমান সময়ে যা বাস্তবতা তা ২০১০ সালেই অনুভব করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সে কারণেই তিনি ঘোষণা করেছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের। আজ দেশের সকল জনগণ সুবিধা ভোগ করছে এই ডিজিটাল বাংলাদেশের। এমনকি ডিজিটাল বাংলাদেশের সমালোচনাকারীরাও আজ দেশের উন্নত তথ্য প্রযুক্তিখাতকে ব্যবহার করে এখনো চালিয়ে যাচ্ছে তাদের সমালোচনা। কিন্তু সকল সমালোচনাকে ছাপিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের 'সোনার বাংলা' বিনির্মাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তার কন্যা শেখ হাসিনা এবং দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
এইচআর/এমকেএইচ