দেশজুড়ে

বিধিনিষেধের মধ্যেও তিস্তা ব্যারাজে মানুষের ঢল

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে লালমিনরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় মানুষের ঢল নেমেছে। তবে দর্শনার্থীদের মাঝে নেই তেমন করোনা সচেতনতা। সেখানে মানা হচ্ছে না শারীরিক দূরত্ব, অধিকাংশেরই মুখে নেই মাস্ক।

Advertisement

আজ (শুক্রবার) বিকেল ৪টার পর থেকে ব্যারাজ এলাকায় দর্শনার্থীদের ভিড় জমতে শুরু করে। দূর-দূরান্ত থেকে কেউ আসছে মোটরসাইকেলে, কেউ অটোরিকশায়। দর্শনার্থীদের ভিড়ে ব্যারাজ এলাকায় জমে উঠেছে অস্থায়ী দোকানপাট।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শারীরিক দূরত্ব কেউ মানছে না। অধিকাংশের মুখে মাস্কও নেই। গাদাগাদি করে মানুষ আসছে ব্যারাজ এলাকায় ঘুরতে। এ সময় এক মোটরসাইকেলে তিনজন উঠে বা শারীরিক দূরত্ব না মেনে অটোরিকশায় উঠে, যে যেভাবে পারছেন, আসছেন-যাচ্ছেন।

প্রতি বছরই ব্যারাজ এলাকায় উৎসবে লোক সমাগম হয়। কিন্তু গত বছর থেকে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি শুরু হওয়ায় লোক সমাগম অনেক কম হয়। তাছাড়া প্রশাসনের বিধিনিষেধও রয়েছে।

Advertisement

তবে এ বছর এতো বেশি লোকসমাগম হয়েছে, যা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে উপজেলা প্রশাসনকে।

ঘুরতে আসা কয়েকজন দর্শনার্থীর সঙ্গে কথা হয়। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার ফলে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় না। তাই ঈদ উপলক্ষে এখানে এসেছেন। করোনার স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা এড়িয়ে যান।

গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মতিয়ার রহমান এ বিষয়ে বলেন, প্রতিবারই এমন ভিড় হয় তিস্তা ব্যারাজে। এমন ভিড়ে কাকে নিষেধ করব? তবে সবাই অবশ্যই মাস্ক পরা উচিত।

দোয়ানী পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত এসআই সিদ্দিক বলেন, ‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা মাঠে রয়েছেন। এতো লোকের সমাগম কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা তাদের চলে যেতে অনুরোধ করে মাইকিং করছি।’

Advertisement

রবিউল হাসান/এমএইচআর/এমএস