রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের শয্যাপাশে স্বজনরা না থাকলেও ঈদের দিনেও স্বজনের দায়িত্ব পালন করছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা। রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আজও সাধারণ বেডে প্রায় ৯০০ রোগী এবং ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আসিইউ) দুই শতাধিক রোগী ভর্তি রয়েছেন।
Advertisement
শুক্রবার (১৪ মে) ঈদের দিন সকাল থেকেই বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা পরিবার-পরিজন রেখে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত হয়েছেন। করোনা রোগী ছাড়াও বিভিন্ন হাসপাতালে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত নন-কোভিড রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসক নার্সরা।
বিভিন্ন হাসপাতালের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, অন্যান্য পেশার লোকজন ঈদের দিনটিতে একান্তভাবে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সময় কাটাতে পারলেও হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের সকলে পারেন না। তাই ঈদের সময় বিশেষ ব্যবস্থাপনায় রুটিন করে চিকিৎসক ও নার্সদের দায়িত্ব পালন করতে হয়।
বর্তমানে মহামারি করোনাকাল চলার কারণে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সের এমনিতেই সঙ্কট রয়েছে। কারণ ১৫ দিনে ডিউটি করার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের ১৫ দিনের জন্য আইসোলেশনে পাঠাতে হয়। তবে বর্তমানে করোনা হাসপাতালে রোগীর চাপ কিছুটা কম বলে তারা জানান।
Advertisement
মহাখালি ডিএনসিসি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ঈদের দিনে দায়িত্ব পালন করছেন সিনিয়র স্টাফ নার্স রাসেল ও জালাল। তারা জানান, করোনা রোগীর শয্যাপাশে থাকার কারণে সকাল বেলাতেই পিপিই পরে আসতে হয়েছে। গরমের মধ্যে পিপিই পরে থাকতে কষ্ট হলেও রোগীর কাছাকাছি থেকে চিকিৎসা দিতে হয় বলে সার্বক্ষণিক পিপিই পরিধান করেই সেবা দেন। ঈদের দিনে স্বজনরা কাছে না এলেও তারাই রোগীর স্বজন হিসেবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। রোগীদের সেবা দিতে পেরে তারা আনন্দিত বলেও জানান।
এমইউ/ইএ/এমএস