লকডাউনের কারণে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এখন পর্যটকশূন্য। নেই কোনো কোলাহল। তাই প্রাণ ফিরে পেয়েছে প্রকৃতি ও জীববৈচিত্রে। সৈকতটি এখন মানুষের নয় লাল কাঁকড়ার দখলে রয়েছে। পাশাপাশি শামুক-ঝিনুক, গাছপালা, সমুদ্র লতা সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুন।
Advertisement
এক সময় সৈকতে বছরজুড়ে লাল কাঁকড়া ছোটাছুটি করত। সমুদ্রে সাতার কাটত মাছের ঝাঁক। সৈকতজুড়ে পাখিদের কলতানে মুখরিত থাকত।কিন্তু পর্যটকদের আনাগোনা ও শব্দ দূষণে সে সৌন্দর্য হারাতে বসেছিল কুয়াকাটা। এখন সৈকেতে কোনো পর্যটক নেই তাই নেই কোনো দূষণও। তাই সৈকতের বালিয়াড়িতে বাসা বেধেছে লাল কাঁকড়ার দল। সৈকতে ছেয়ে গেছে ঝিনুকের মেলা। দেখা দিচ্ছে ছোট ছোট কচ্ছপ। গাছ পালা পেয়েছে আলাদা সৌন্দর্যের মাত্রা।
সাগরপাড়ের বাসিন্দা কবির হোসেন জানান, লকডাউনের কারণে কুয়াকাটায় কোনো পর্যটক নেই। এ সুযোগে পানিতে মাছের আনাগোনা বেড়েছে। লাল ককড়া ছোটাছুটি করছে। সব সময় এমনটা দেখা যায় না।
কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার জাগো নিউজকে বলেন, কুয়াকাটা এখন পর্যটক শূন্য।এ সুযোগে প্রকৃতি নতুন সৌন্দর্যে সেজেছে। সি-বিচ একেবারে পরিষ্কার। তাই ঝাকে ঝাকে লাল কাকড়া ছুটে আসছে বিচে। এছাড়া সমুদ্র লতা, ঝিনুকসহ বিভিন্ন জ্বলজ প্রাণি দেখা যাচ্ছে।
Advertisement
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আহম্মেদ জাগো নিউজকে জানান, কুয়াকাটায় সব সময় পর্যটক থাকায় কোলাহল পূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। মানুষ ময়লা ফেলে পরিবেশ নোংরা করে। তাই কাকড়া, মাছসহ বিভিন্ন প্রাণির তেমন দেখা মেলে না। তিনি বলেন, এখন তো কুয়াকাটায় কোনো পর্যটক নেই, নেই কোন কোলাহলও।তাই পরিবেশও নোংরা হচ্ছে না। এ কারণে লাল কাকড়া, শামুক-ঝিনুকসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণি প্রচুর দেখা যাচ্ছে।
এএইচ/এমএস