ঈদুল ফিতরের দিন রাজধানীতে বিভিন্ন মসজিদে মুসল্লিরা দুই রাকাত নামাজ আদায় করবেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে অন্যান্য সময়ের মতো এবার ঈদগাহে বা উন্মুক্ত স্থানে ঈদের জামাত হচ্ছে না।
Advertisement
আগামীকাল শুক্রবার (১৪ মে) দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এবার হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত হবে না। তবে প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
গত ২৬ এপ্রিল ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনার কারণে এবারও ঈদগাহে বা খোলা জায়গায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত আদায় করা যাবে না। মসজিদে পড়তে হবে ঈদের নামাজ। একইসঙ্গে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সরকার।
Advertisement
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা, ১০টা ও ১০টা ৪৫ মিনিটে বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায়। এতে ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন হাফেজ কারী কাজী মাসুদুর রহমান।
দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন হাফেজ কারী হাবিবুর রহমান মেশকাত।
৯টার তৃতীয় জামাতের ইমাম হবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। মুকাব্বির মুয়াজ্জিন মাওলানা ইসহাক।
Advertisement
চতুর্থ জামাত হবে সকাল ১০টায়। এতে ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. আতাউর রহমান।
পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। এতে ইমাম থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ুর রহমান খান। মুকাব্বির হবেন বায়তুল মোকাররমের খাদেম হাফেজ মো. শহীদুল্লাহ।
পাঁচটি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত না থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
অপরদিকে ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা ও সকাল ৯টায়, ধানমন্ডির বায়তুল আমান মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায়, ঈদগাহ মাঠ মসজিদে ৮টায় এবং সোবহানবাগ জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত হবে।
রাজধানীর গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদে সকাল ৬টা, সাড়ে ৭টা এবং সাড়ে ৯টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। পুরান ঢাকার চকবাজার শাহী মসজিদে সকাল ৮টা ও ৯টায় দুটি জামাত হওয়ার কথা রয়েছে। বড় কাটারা মাদরাসা মসজিদে ঈদ জামাত হবে সকাল ৮টায়। লালবাগ শাহী মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় একটি জামাত হবে।
মহাখালীর মসজিদে গাউসুল আজমে তিনটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ এবং শহীদুল্লাহ হল জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত হওয়ার কথা রয়েছে।
নবাবগঞ্জ বড় মসজিদে ঈদের জামাত হবে সকাল ৭টায়, ৮টায় ও ৯টায়। আজিমপুর কবরস্থান মসজিদে সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা ও ১০টায় চারটি জামাত হবে। মিরপুর দারুস সালাম লালকুঠি বড় মসজিদে সকাল ৭টায় একটি জামাত হবে এবার।
পুরান ঢাকা তারা মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টা ও ৯ টায়, রায়সাহেব বাজার জামে মসজিদে সাড়ে ৮টায়, নিমতলী ছাতা মসজিদে সকাল ৮টা ও ৯টায়, আগামছি লেন জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা ও সাড়ে ৮টায় এবং বায়তুল মামুর জামে মসজিদে সকাল সোয়া ৮টা ও ৯টায় ঈদের জামাত হওয়ার কথা রয়েছে।
আরএমএম/বিএ/এমএস