গাছ পছন্দ করে না এমন মানুষ হয়তো একজনও নেই! সবাই চায় নিজ নিজ ঘরে সবুজের ছোঁয়া রাখতে। বিশেষ করে শহরবাসীর কাছে এক ফালি বারান্দা আর একটি ছাদই সম্বল! এইটুকু জায়গাতেই চাইলে কিন্তু সুন্দর করে সাজিয়ে নিতে পারেন গাছ দিয়ে।
Advertisement
গাছ ঘরের বাতাসকে বিশুদ্ধ রাখার পাশাপাশি অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়াও গাছ ঘর ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করে। এমনকি পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে ঘরকে বাঁচায় গাছ।
মহামারির এ সময় সবাই ঘরে দিন কাটাচ্ছেন! তাই এ সময়টুকু কাজে লাগাতে ঘরের সামনের ছোট্ট বারান্দা সাজিয়ে ফেলুন পুরনো মগ, বোতল বা শিশিতে নানারকম ফুল আর ইন্ডোর প্ল্যান্ট দিয়ে সাজিয়ে তুলতে পারবেন আপনার বারান্দা।
ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের বোতল, কাঁচের শিশি-বোতল সুন্দর করে রং করে নিয়ে ব্যবহার উপযোগী করে তুলতে পারেন। এমনকি দইয়ের ভাঁড় ভালো করে ধুয়ে তাতেও গাছ বসাতে পারেন। কীভাবে শুরু করবেন জেনে নিন-
Advertisement
>> প্রথমেই পুরোনো প্লাস্টিকের বোতল, কন্টেনার সব এক স্থানে জড়ো করুন। এবার কাঁচের শিশি, প্লাস্টিকের বোতল, টিনের ক্যান ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর রং তুলি দিয়ে রাঙিয়ে তুলুন।
>> এবার সার দিয়ে মাটি তৈরি করে নিন। কিংবা নার্সারি থেকে ভালো মাটি কিনে আনুন।
>> নার্সারি বা গাছের দোকান থাকলে সেখান থেকে গাছ কিনে আনুন অথবা অনলাইনেও কিনতে পারেন। মরিচ, টমেটো, পুদিনাপাতা, কুমড়ো বীজ, পুঁইশাক পুঁতে সহজেই ডাল বা বীজ থেকে গাছ জন্মে।
>> এবার কিছু গাছ মাটিতে পুতে দিয়ে গ্রিলে ঝুলিয়ে দিন। প্লাস্টিকের বোতল কেটে গাছ করে সেই গাছও ঝুলিয়ে দিতে পারেন। গ্রিলে লাগাতে পারেন লতানো গাছ। জুঁই, বোগেনভোলিয়া কিংবা মাধবীলতা।
Advertisement
>> কিছু গাছের গোড়ায় সুন্দর করে পাথর দিয়ে মূর্তিও বসাতে পারেন। সবুজের মাঝে দেখতে বেশ লাগে।
>> এ ছাড়াও পুরোনো কাপড় থাকলে তা তিনকোনা করে কেটে সুন্দর করে ঝুলিয়ে দিতে পারেন বাগানে।
>> পুরোনো বা ভাঙা চেয়ার থাকলে সেটিও রং করে সুন্দর আকার দিতে পারেন। ভাঙা চেয়ারের উপর রাখতে পারেন ছোট ছোট গাছ ও মূর্তি।
>> পুরনো দিনের টিনের ট্রাংকও রং করে বদলে ফেলতে পারেন। এর উপরও রাখতে পারেন গাছ, বই।
>> এ ছাড়াও বারান্দার ছোট্ট স্থানেও বসার ব্যবস্থা রাখতে পারেন। দু’টো মোড়া রাখতে পারেন। অথবা ঘাস কার্পেটগুলো বিছিয়ে দিতে পারেন।
>> ব্যালকনিতে মরিচবাতি লাগাতে পারেন। সন্ধ্যার সময় জ্বালিয়ে রাখলে বারান্দার সৌন্দর্য অনেকখানি বেড়ে যাবে। আলোর মধ্যে ছোট ছোট লন্ঠনও লাগাতে পারেন।
>> বাগান নিয়মিত পরিচর্যার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। যেমন-পচা পাতা তুলে ফেলা, সার-পানি দেওয়া, মাটি খোঁচানো সব নিজের হাতেই করুন। তাহলে গাছ সহজে মরবে না।
জেএমএস/এমকেএইচ