যুক্তরাষ্ট্রে মঙ্গলবার (১১ মে) সন্ধ্যায় কোথাও আরবি শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি, ফলে আগামী বৃহস্পতিবার (১৩ মে) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। বুধবার রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে।
Advertisement
আর ঈদ উদযাপিত হবে পরদিন বৃহস্পতিবার। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ওইদিন মেতে উঠবে সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদের আনন্দে।
মহামারি করোনাভাইরাসের ছোবল থেকে রক্ষা পেতে প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কোটি কোটি মানুষ সরকারি আদেশে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছিল। একই আদেশের আওতায় লাখ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশিরাও ছিল ঘরবন্দি।
ফলে এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতরও সবার কাছেই হয়েছে নিরানন্দের ঈদ। ইতোমধ্যে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারগুলো থেকে ঈদুল ফিতরের জামাতের ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশি পরিচালিত বিভিন্ন মসজিদে ৩-৪ দফা করে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দেন।
Advertisement
প্রত্যেক জামাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মুসল্লিদের নামাজ পড়তে হবে বলে উল্লেখ করা হয়। ইতোমধ্যে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারগুলো থেকে ঈদুল ফিতরের জামাতের ঘোষণা দিয়েছেন।
বাংলাদেশি পরিচালিত বিভিন্ন মসজিদে ৩ দফা করে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দেন। প্রত্যেক জামাতে ৫০ জনের বেশি মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবে না বলে উল্লেখ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের জনবহুল ও বাংলাদেশি অধুষ্যিত নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেনসিলভানিয়া, ওয়াশিংটন ডিসি, ভার্জিনিয়া, ম্যাসাচুসেটস, কানেকটিকাট, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, ওহাইও, ইলিনয়স, কলারাডো, ডেলাওয়ার, জর্জিয়া, কানসাস, ম্যারিল্যান্ড, মিশিগান, সাউথ ক্যারোলিনা, ওয়াশিংটন ও কেন্টাকির বিভিন্ন মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারগুলো থেকে ঈদুল ফিতরের জামাতের ঘোষণা দিয়েছেন।
গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্রই একই দিনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এর আগে প্রায় দু’দিনে ঈদের জামাত হতো। এবারের কোনো ধরনের বিভ্রান্তি হবে না বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারের কর্মকর্তারা।
Advertisement
এক মাস সিয়াম সাধনার পর সবার জন্য আনন্দের বার্তা নিয়ে আসছে ঈদুল ফিতর। ইতোমধ্যে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারগলো থেকে ঈদুল ফিতরের জামাতের ঘোষণা দিয়েছেন। গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্রই একই দিনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
এর আগে প্রায় দু’দিনে ঈদের জামাত হত। এবারের কোন ধরনের বিভ্রান্তি হবে না বলে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টারগুলো থেকে বলা হয়েছে।
এমআরএম/জিকেএস