দেশজুড়ে

এবার নওগাঁয় শিশু শ্রমিককে নির্যাতন

নওগাঁয় হার্ডওয়ার দোকানের কর্মচারী দ্বীপ (১২) নামে এক শিশুকে পাশের দোকানের মালিক নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে শহরের ডাবপট্টি-লোহাপট্টিতে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার দ্বীপকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ৪ ঘণ্টা চিকিৎসাধীন থাকার পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। দ্বীপ নওগাঁ শহরের কালীতলা মহল্লার সুধিরের ছেলে।দাস হার্ডওয়ারের মালিক সাগর দাস জাগো নিউজকে জানান, দ্বীপ প্রায় সাত মাস থেকে তার দোকানে কাজ করে আসছে। ছেলেটা চঞ্চল প্রকৃতির। সকাল ১০টার দিকে পাশের দোকান সুবির হার্ডওয়ারের মালিক সুবির তার দোকান খুলে ঝাড়ু দিচ্ছিলেন। দ্বীপের সঙ্গে সুবিরের কি এক কথায় রাগের বসে গলা ধরে রাস্তার উপর আছাড় মারেন। এতে সে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে তাকে আমি উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে অর্থপেডিক্স বিভাগে ৮৫ নম্বর বেডে ভর্তি করে দেই। সুবির হার্ডওয়ারের মালিক সুবির জাগো নিউজকে দ্বীপকে গলা ধরে রাস্তার উপর আছাড় মারার কথা অস্বীকার করেন। রাগের বসে তিনি তাকে ধাক্কা দেন বলে জানান।নওগাঁ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মাহফুজার রহমান জাগো নিউজকে জানান, অচেতন অবস্থায় দ্বীপকে হাসপাতালে ভর্তি করে স্যালাইন, এন্টিবায়োটিকসহ ব্যাথা নাশক ওষুধ ও চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় কয়েকবার বমি করলে অবস্থা বেগতিক দেখে দুপুর আড়াইটার দিকে দ্বীপকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।তিনি আরও জানান, দ্বীপ মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছে। নিউওরো সার্জারি ডাক্তার না থাকায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়।নওগাঁ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকিরুল ইসলাম ঘটনরা সত্যত নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে জানান, শিশুটি কয়েকবার বমি করায় কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এ ব্যাপারে শিশুটির পরিবার থানায় কোনো মামলা করেনি।আব্বাস আলী/এমজেড/পিআর

Advertisement