শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বর্তমান সরকারের শিক্ষাক্ষেত্রে মূল লক্ষ্য নতুন প্রজন্মকে আগামীর জন্য প্রস্তুত করা। মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডি গভর্নমেন্ট বয়েজ হাই স্কুলে সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান যুগের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হলে বিশ্বমানের শিক্ষা, জ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রয়োজন। তবে জ্ঞান আর প্রযুক্তি দিয়ে মাথা ভরে দিলে হবে না। সে সঙ্গে প্রয়োজন নতুন প্রজন্মের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ, সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ করা। নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বর্তমান শিক্ষানীতি দলমত নির্বিশেষে সবাই মেনে নিয়েছে। এ নীতি বাস্তবায়ন খুবই কঠিন কাজ। তবুও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। গতানুগতিক শিক্ষা দিয়ে নতুন প্রজন্মকে আধুনিক যুগের নির্মাতা হিসেবে তৈরি করা যাবে না। সেজন্য আমরা চাই শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল বা মৌলিক পরিবর্তন।শিক্ষার অগ্রগতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ছেলে-মেয়েরা আগে স্কুলেই আসত না। এখন এত বেশি স্কুলে আসছে জায়গা দিতে পারছি না। গাছতলায় ক্লাস হচ্ছে এমন ছবি দেখে আমি খুশি। এটা আমাদের উন্নতি আর উন্নয়নের সমস্যা। বর্তমান সরকার শিক্ষা খাতে এত বেশি উন্নতি আর উন্নয়ন করেছে এটি তারই ফল।শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৯৯ শতাংশ ছেলেমেয়েকে স্কুলে নিয়ে এসেছি। খুবই কঠিন কাজ তাদের ধরে রাখা। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে ছেলেমেয়ের সমতা অর্জন করেছি। প্রাথমিকে মেয়ে ৫১ ভাগ ও ছেলে ৪৯ ভাগ। মাধ্যমিকে মেয়ে ৫৩ ভাগ ও ছেলে ৪৭ ভাগ। আগামী ৩ বছরের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিকে মেয়েরা বেশি হয়ে যাবে। উচ্চশিক্ষায় ৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যে সমতা অর্জন করা যাবে বলেও জানান তিনি।উচ্চশিক্ষা প্রসঙ্গে শিক্ষমন্ত্রী বলেন, সরকার ক্ষমতায় আসার পর মোট শিক্ষার্থীর ১ শতাংশের কম লেখাপড়া করতো। এখন ১০ শতাংশ করে। ২০২০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। উচ্চশিক্ষা আগের মতো চলবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলাম। স্যার বক্তব্য দিল। সার্টিফিকেট নিয়ে চলে আসলাম। বিশ্ববিদ্যালয় হবে জ্ঞান চর্চা, নতুন জ্ঞান সৃষ্টির কেন্দ্র।অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম। প্রসঙ্গত, সারা দেশের ৩৩৫টি সরকারি স্কুলের মধ্যে সকল বিভাগীয় ও জেলা সদরের ১৩৫টি সরকারি হাইস্কুলে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২০১৭ সালে সকল সরকারি স্কুলে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তিকার্যক্রম পরিচালনা হবে।এনএম/এসকেডি/আরআইপি
Advertisement