জাতীয়

পুরান ঢাকার মার্কেটগুলোতে ক্রেতা কম

অন্যান্য বছর রমজানে শুরু থেকে ঈদুল ফিতরের আগের দিন তথা চাঁদ রাত পর্যন্ত পুরান ঢাকার লক্ষীবাজারে কাপড়-কসমেটিকের দোকানে বেচাকেনার ধুম লাগতো। কিন্তু এবার করোনা মহামারিতে তেমন বেচাকেনা নেই। ক্রেতার উপস্থিতি অনেক কম।

Advertisement

পুরান ঢাকার সদরঘাট, ইসলামপুর, চকবাজার, ফুলবাড়িয়া, গুলিস্তান, বঙ্গবাজার এলাকায় প্রায় একই চিত্র। ব্যবসায়ীরা জানান, এবার ঈদে ক্রেতাদের তেমন দেখা নেই। এখন যে পরিমাণ বেচাকেনা হচ্ছে তা দিয়ে দোকানের খরচ, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিয়ে ব্যবসার মূলধন ধরে রাখা মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। আর এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসায়ীদের পথে বসতে হবে।

মঙ্গলবার (১১ মে) দুপুর ১২টায় লক্ষীবাজার মোড়ের আয়ান গার্মেন্টসে বসে গল্প করছিলেন দোকান কর্মচারীরা। জানতে চাইলে দোকানের ব্যবস্থাপক আনিসুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত দোকানে তেমন বেচা কেনা হয় না। বিকেল তিনটা-চারটার দিকে কিছু ক্রেতা কেনাকাটা করতে আসেন। বেশি দরদাম না করে সামান্য লাভে তাদের কাছে কাপড় বিক্রি করে দেই। তবে যে পরিমাণ লাভ হয় তা দিয়ে ব্যবসা ধরে রাখা অনেক কঠিন।

সদরঘাটের শরীফ মার্কেট পাইকারি দরে পাঞ্জাবি কেনাকাটার জন্য পরিচিত। মঙ্গলবার দুপুরে এই মার্কেটে গিয়েও ক্রেতা দেখা যায়নি। লাবিব পাঞ্জাবি কালেকশনের স্বত্বাধিকারী ফিরোজ আলম বলেন, এই মার্কেটে পাইকারি বেচাকেনা হয়। কিন্তু দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ক্রেতাদের দেখা নেই। বাধ্য হয়ে দোকানিরা খুচরা বেচাকেনা করছেন।

Advertisement

তবে বঙ্গবাজার সুপার মার্কেটে ক্রেতাদের কিছুটা ভিড় দেখা গেছে। পরিবার নিয়ে বঙ্গবাজারে কেনাকাটা করতে গেছেন চকবাজারের বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন। তিনি বলেন, করোনায় আয়-রোজগার অনেক কমে গেছে। তাই সাধ্যের মধ্যে বঙ্গবাজারে কেনাকাট করতে এসেছেন তিনি।

বঙ্গবাজার সুপার মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, এই মার্কেটেও পাইকারি বেচাকেনা হতো। কিন্তু পাইকার না থাকায় এখন তারা খুচরাই বেচাকেনা করছেন।

এমএমএ/এমআরআর/জেআইএম

Advertisement