আগামীকাল বুধবার (১২ মে) থেকে শুরু হচ্ছে ঈদুল ফিতরের ছুটি। তাই ঈদের আগে আজ মঙ্গলবারই (১১ মে) হচ্ছে শেষ কর্মদিবস।
Advertisement
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে চলমান বিধিনিষেধ (লকডাউন) বহাল থাকবে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত।
বিধিনিষেধের নির্দেশনা অনুযায়ী, জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রয়েছে। সীমিত পরিসরে হয়েছে ব্যাংক লেনদেন। জেলার মধ্যে চলছে বাস। আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। বন্ধ আছে ট্রেন ও লঞ্চ। খোলা ছিল শিল্প-কারখানা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রয়েছে।
বিধিনিষেধের শুরুর দিকে সরকারি অফিস বন্ধের সিদ্ধান্ত জোরালোভাবে কার্যকর ছিল। গত ৫ মে থেকে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পর থেকে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যক্রম বেড়েছে। তাই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি বেড়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার সচিবালয় ঘুরে দেখা গেছে, শেষ কর্মদিবসে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কোনো না কোনো দফতর খোলা রয়েছে। তবে সচিবালয়ে গাড়ির আনাগোনা ছিল অনেকটাই স্বাভাবিক।
যারা অফিস করতে এসেছেন, তারা শেষ কর্মদিবসে সহকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। তবে আগের মতো নেই কোলাকুলি, হাত মেলানো।
গত ৫ মে’র মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের ঈদের ছুটিতে বাধ্যতামূলকভাবে কর্মস্থলে থাকতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদের ছুটিতে বাধ্যতামূলকভাবে কর্মস্থলে থাকতে হবে।
Advertisement
এতে বলা হয়, সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঈদের ছুটিতে আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ কর্মস্থলে (অধিক্ষেত্রে) অবস্থান করবেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার (১৩ বা ১৪ মে) দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
আগামীকাল বুধবার (১২ মে) থেকে শুরু হচ্ছে ঈদের ছুটি। রমজান মাস যদি ২৯ দিনে শেষ হয় তবে ঈদুল ফিতর হবে বৃহস্পতিবার (১৩ মে)। এক্ষেত্রে বৃহস্পতি ও শুক্রবারও (১৩ ও ১৪ মে) ঈদের ছুটি থাকবে। তবে রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হলে ঈদের ছুটি আরও একদিন বাড়বে, সেক্ষেত্রে ১৫ মে, শনিবারও ছুটি থাকবে। এবার ঈদের ছুটির দুই বা একদিন পড়বে সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। লকডাউনের মধ্যে পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। পরে তিন দফা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
আরএমএম/এমএইচআর/এমকেএইচ