করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক সোমবার জানিয়েছে, তারা সিঙ্গাপুরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সদর দফতর বানাবে এবং সেখানে এমআরএনএ-ভিত্তিক ভ্যাকসিন তৈরি করবে। খবর এএফপির।
Advertisement
এক বিবৃতিতে জার্মান এই কোম্পানিটি জানায়, সিঙ্গাপুরে ভ্যাকসিন উৎপাদন কারখানার অবকাঠামো নির্মাণ এ বছরেই শুরু হবে এবং ২০২৩ সাল নাগাদ কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।
বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী উগুর সাহিন বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী এই এমআরএনএ উৎপাদন কারখানার মাধ্যমে আমরা আমাদের সামগ্রীক নেটওয়ার্কের সক্ষমতা এবং উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করব। এছাড়া এর মাধ্যমে আমাদের এমআরএনএ ভ্যাকসিন ও থেরাপি সারা বিশ্বের মানুষের কাছে সরবরাহ করব।’
মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজারের সঙ্গে যৌথভাবে বায়োএনটেক করোনাভাইরাসের যে ভ্যাকসিন বানিয়েছে, তা গত বছর পশ্চিমে প্রথম কোনো করোনা ভ্যাকসিন হিসেবে অনুমোদন পেয়েছিল।
Advertisement
বর্তমানে এই ভ্যাকসিন বিশ্বের ৯০টি দেশে এই সরবরাহ করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, এ বছরের শেষ নাগাদ ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিনের ৩০০ কোটি ডোজ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। আর আগামী বছর এই উৎপাদন বাড়িয়ে ৩০০ কোটি ডোজের বেশি করা হবে।
সিঙ্গাপুরে বায়োএনটেকের কারখানাটি হবে ইউরোপের বাইরে তাদের প্রথম কোনো এমআরএনএ ভ্যাকসিন উৎপাদন কারখানা। এই কারখানায় কয়েক কোটি ভ্যাকসিন ডোজ উৎপাদন করা যাবে।
বায়োএনটেকের অংশীদার ফাইজারের কারখানা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও বেলজিয়ামে।
বৈশ্বিকভাবে করোনা ভ্যাকসিনের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফাইজার ও বায়োএনটেক আরও কিছু ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির সঙ্গেও চুক্তি করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে মের্ক, নোভার্টিস ও সানোফি।
Advertisement
মেসেঞ্জার আরএনএ (এমআরএনএ) জেনেটিক প্রযুক্তি করোনভাইরাসে পাওয়া স্পাইক প্রোটিনগুলোর মতো স্পাইক প্রোটিন পুনরুৎপাদন করতে শরীরকে প্রশিক্ষণ দেয়।
যখন সত্যিকার ভাইরাসে আক্রান্ত হয়, তখন শরীর এই স্পাইক প্রোটিনগুলোকে চিহ্নিত করে ফেলে এবং এদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হয়।
আরেক মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি মডার্নার করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনেও একই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
এমকে/জিকেএস