নাটোরের গুরুদাসপুরে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধনের পরদিনই অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয়রা।
Advertisement
রোববার (৯ মে) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করেন অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সদস্য ও সাধারণ কৃষকরা।
মানববন্ধনে গুরুদাসপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. শাহনেওয়াজ আলী, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম, মিল মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এসময় বক্তারা বলেন, মধ্যস্বত্বভোগী একটি দালালচক্র স্থানীয় সংসদ সদস্যের মদদে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে অনিয়ম-দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম করে আসছে। স্থানীয় সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস ১১৮ জন মিল মালিককে বাদ দিয়ে মাত্র দুই মিল মালিক সামছুল হক শেখ ও আব্দুর রহিম মোল্লার মাধ্যমে খাদ্য গুদামে নিম্নমানের চাল সরবরাহ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
Advertisement
ভুক্তভোগী মিলার বাছের আলী ও বয়েজ আলী বলেন, আমাদের রক্ত চুষে খাচ্ছে এই সিন্ডিকেট। প্রতি মৌসুমে তারা খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে যোগসাজেস করে অন্তত ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। বিগত বছরগুলোতে মিলারদের কাছ থেকে প্রতি বস্তা চালে ৬০ টাকা করে আর্থিক সুবিধা আদায় করে ওই সিন্ডিকেট।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক উম্মে কুলসুম বলেন, সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করেই ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
খাদ্য পরিদর্শক বিদ্যুৎ কুমার দাশ বলেন, এবার প্রতি কেজি ধান ২৭ টাকা হারে ৪৮১ মেট্রিকটন ও ৪০ টাকা কেজি হারে তিন হাজার ৩৮৪ মেট্রিকটন চাল ক্রয় করা হবে।
এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের মোবাইল ফোনে একাধিক বার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।
Advertisement
তবে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের সভাপতি ও ইউএনও মো. তমাল হোসেন বলেন, মিলারদের অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রেজাউল করিম রেজা/আরএইচ/এমএস