আইন-আদালত

নিজামীর আপিলে দ্বিতীয় দিনের যুক্তিতর্ক চলছে

একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে জামায়াত নেতা নিজামীর করা আপিল আবেদনের ওপর দ্বিতীয় দিনে মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলছে। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চে এ আপিলে আবেদনের ওপর যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) চলছে।বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।আদালতে নিজামীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করছেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান। এর আগে গতকাল সোমবারও নিজামীর পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।গত ২৫ নভেম্বর আদালত ৩০ নভেম্বর, ১ ডিসেম্বর ও ২ ডিসেম্বর-এই তিন দিন নিজামীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ঠিক করেন। রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন করবেন আগামী ৭ ডিসেম্বর। আসামিপক্ষ সর্বশেষ জবাব দিবে তার পারের দিন ৮ ডিসেম্বর।২৫ নভেম্বর আদালতে ষষ্ঠ দিনের মত পেপারবুক (নথি-পত্র) সর্বশেষ অংশ অভিযোগ, সাক্ষির জবানবন্দি ও রায় পড়ে শেষ করেন নিজামীর আইনজীবী এসএম শাহজাহান। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন- অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির। আসামির পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন- নিজামীর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, মো. শিশির মনির, নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন, মীর কাসেমের ছেলে ব্যারিস্টার আহম্মেদ বিন কাসেম।এর আগে গত ১৯ নভেম্বর তৃতীয় দিনের মতো শুনানি করেন তার আইনজীবী। তারও আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়। ওই দিন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতে শুনানি শুরু করেন। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আসা এটি ষষ্ঠ মামলা, এর আগে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আনা আরও ৫টি মামলা আপিলে নিস্পত্তি হয়েছে।মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর আপিল করেন নিজামী। একশ’ ২১ পৃষ্ঠায় মূল আপিল আবেদনের সঙ্গে ৬ হাজার ২শত ৫২ পৃষ্ঠার নথিপত্র দাখিল করা হয়। আপিলে ১শত ৬৮ টি গ্রাউন্ড তুলে ধরে দণ্ড থেকে খালাস চাওয়া হয়েছে।এর আগে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর নিজামীর মুত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। নিজামীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ১৬টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের মধ্যে ৮টি অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এর রায় দেয়া হয়।এফএইচ/আরএস/এমএস

Advertisement