রাবির সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বলেছেন, ‘এখানে যারা এ নিয়োগটা ডিজার্ভ করে তারাই পেয়েছে। আমি মানবিক কারণে নিয়োগ দিয়েছি, কারণ তাদের জীবনযাত্রা ভীষণভাবে ব্যাহত হচ্ছিল। তাদের প্রত্যেকেই অনার্স-মাস্টার্স পাস। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেণির একটা চাকরি করবে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে, আমি মনে করি এটা যৌক্তিক।’
Advertisement
শনিবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনায় একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ভাইভা নেব তখন নিষেধাজ্ঞা আসে। কোভিডের জন্য স্থগিত রাখি। ২০০টি পদে আমরা বিজ্ঞাপন দিয়েছিলাম। যারা প্রার্থী ছিল তাদের সব কিছু হয়ে গিয়েছিল। শুধু ভাইভা বাকি ছিল। সুতরাং তারা ডিজার্ভ করে এটা।’
সাবেক এই উপাচার্য আরও বলেন, ‘তারা আওয়ামী পরিবারের সন্তান। তাদের ক্রমাগত দাবি, ক্রমাগত চাপে আমি মানবিকভাবে বোধ করেছি তাদের চাকরি পাওয়া উচিত। তাদের চাকরি দিয়েছি, কেউ আমাকে বলেনি। এটার সাথে আর কেউ জড়িত নয়। কেউ সেভাবে আমাকে বলেনি যে নিয়োগ দেন।’
Advertisement
অধ্যাপক সোবহান বলেন, ‘আমি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমের জন্য শুধু এ নিয়োগ না, আরও নিয়োগ না দিলে স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। না হলে বিশ্ববিদ্যালয় মুখ থুবড়ে পড়বে।’
এর আগে ৬ মে (বৃহস্পতিবার) উপাচার্য তার মেয়াদের শেষ দিনেই নিয়োগ দেন ১৩৭ জনকে। বিতর্কিত সে নিয়োগকে অবৈধ উল্লেখ করে সেদিন সন্ধ্যায় একটা তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ (৮ মে) তদন্ত কমিটি ক্যাম্পাসে এসে সাক্ষাৎ করেন বর্তমান, সাবেক উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও নিয়োগের সাথে সম্পর্কিত সকলের সাথে।
সালমান শাকিল/এমএইচআর/জিকেএস
Advertisement