তথ্যপ্রযুক্তি

তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি টিক্যাবের

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব)।

Advertisement

শনিবার (৮ মে) দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।

বিজ্ঞপ্তিতে টিক্যাব -এর আহ্বায়ক মো. মুর্শিদুল হক বলেন, ‘দেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে এক হাজার ৪১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল যা ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৮.৭ শতাংশ বেশি। তবে বাংলাদেশের মতো জনবহুল ও প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থাকা দেশের জন্য এটি পর্যাপ্ত নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সারাবিশ্ব প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। নতুন পরাশক্তি হিসেবে চীনের আবির্ভার হয়েছে প্রযুক্তিতে চীনের বৈপ্লবিক উত্থানের ফলে। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার পাশাপাশি ভিয়েতনামও এখন পোশাকখাতের সাথে সাথে প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন ও রফতানিতে ব্যাপক উন্নতি করেছে। বাংলাদেশ সরকারও চেষ্টা করছে দেশকে প্রযুক্তি খাতে এগিয়ে নিতে। তবে এক্ষেত্রে সাফল্য পেতে আমাদের সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে দ্রুতগতিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

Advertisement

বিজ্ঞপ্তিতে টিক্যাব বাজেটে বিবেচনার জন্য ৫ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরে। সেগেুলো হলো-

>> প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে বিশেষ বরাদ্দ প্রদান।

>> সারাদেশে নির্মাণাধীন হাইটেক পার্কগুলোকে দ্রুততার সাথে স্থাপন করে প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনে দেশি-বিদেশী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আকৃষ্ট করা।

>> ফ্রিল্যান্সিং -এ বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ফ্রিল্যান্সারদের বিভিন্ন সমস্যা দূর করা এবং দেশে পেপাল চালু করা।

Advertisement

>> ভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ সংশোধন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে আরো জনবান্ধব ও শক্তিশালী করা প্রয়োজন।

>> সারা দেশে শক্তিশালী মোবাইল নেটওয়ার্ক ও সহজলভ্য ইন্টারনেট সেবা ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিচারবিভাগসহ দেশের সবখাতকে আরো প্রযুক্তিবান্ধব করতে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দেয়া।

এইচএস/এমএইচআর/এমকেএইচ