আগামী বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে দিবারাত্রির টেস্ট আয়োজনের কথা ভাবছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। কারণ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ঐতিহাসিক প্রথম দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচটি সফলভাবেই শেষ হওয়াতে এমন চিন্তা-ভাবনা ক্রিকেট কর্মকর্তাদের। সেইসঙ্গে ভবিষ্যতে আরও বেশি দিবারাত্রির টেস্ট আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা আরও বাড়াতে হলে এমন দিবারাত্রির ম্যাচ ভবিষ্যতে আয়োজনের কথা বললেন অনেকে।১৩৮ বছরের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো দিবারাত্রির ম্যাচ। অ্যাডিলেডে গত ২৭ নভেম্বর মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। টেস্টের প্রথম দিনেই দিবা-রাত্রি ম্যাচের মূল্যটা বুঝিয়ে দিয়েছে ক্রিকেটের আসল প্রাণ দর্শক-সমর্থকরা। ৪৭ হাজার ৪৪১ জন দর্শক ম্যাচের প্রথম দিনই মাঠে উপস্থিত থাকে। ১৯৩২-৩৩ সালে ‘বডিলাইন’ সিরিজের পর কোনো টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিন এতো দর্শকের ছোঁয়া পেলো অ্যাডিলেডের গ্যালারি।প্রথম দিনের দর্শকদের রেকর্ড উপস্থিতির পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনও দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচ নিয়ে নিজেদের আগ্রহটা হারে হারে বুঝিয়ে দিয়েছেন তারা। ফলে তিন দিনে সর্বমোট এক লাখ ২৩ হাজার ৭৩৬ দর্শক উপস্থিত হয় অ্যাডিলেডের দিবারাত্রির ম্যাচে। শুধু কি মাঠের উপস্থিতি সকলের মনে ধরিয়েছে? এক কথায় বলতে গেলে উত্তরটা হবে ‘না’। কারণ টেস্টের তৃতীয় দিন তিন দশমিক ১৯ মিলিয়ন ক্রিকেট ভক্তের চোখ ছিলো অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের ঐতিহাসিক দিবারাত্রির ম্যাচের দিকে।দিবারাত্রির ম্যাচ নিয়ে দর্শক, খেলোয়াড়দের এমন আগ্রহ দেখে চুপ করে থাকতে পারেননি ক্রিকেটের প্রধান প্রধান কর্মকর্তারা। তাই ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে এই অ্যাডিলেডেই পাকিস্তানের বিপক্ষে দিবারাত্রির আয়োজনের কথা ভাবছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এমন আভাসের সঙ্গে ইঙ্গিতও দিয়েছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমসন সান্ডারল্যান্ড।অ্যাডিলেডের ঐতিহাসিক টেস্টটি ৩ উইকেটে জিতেছিলো অস্ট্রেলিয়া। সেইসঙ্গে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।বিএ
Advertisement