জাতীয়

৮ সপ্তাহে সর্বনিম্ন করোনা শনাক্ত

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৮৭৮ জনে।

Advertisement

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ২৮৫ জন। যা ৫৫ দিন বা প্রায় আট সপ্তাহ পর সর্বনিম্ন শনাক্ত। এর আগে গত ১৪ মার্চ দেশে এক হাজার ১৫৯ জনের দেহে মিলেছিল করোনা। সবমিলিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন সাত লাখ ৭২ হাজার ১২৭।

শনিবার (৮ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে আরও জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৪৯২ জন। ফলে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল সাত লাখ ছয় হাজার ৮৩৩ জনে।

Advertisement

আর গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৭০৩টি। এতে এক হাজার ২৮৫ জনের মধ্যে মিলেছে ভাইরাসটি। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানো করোনাভাইরাস বাংলাদেশে শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। সেদিন দেশে করোনার প্রথম রোগী শনাক্তের কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বাড়তে থাকে। তবে গত ডিসেম্বেরের শেষ দিক থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।

কিন্তু মার্চ থেকে এ চিত্রে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। বাড়তে শুরু করে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। বাড়তে থাকে মৃত্যুও। দেশে সর্বোচ্চ ১১২ জনের মৃত্যুর রেকর্ডের কথা জানানো হয় গত ১৯ এপ্রিল। আর সর্বোচ্চ সাত হাজার ৬২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয় ৭ এপ্রিল।

সংক্রমণ ঠেকাতে গত ৫ এপ্রিল থেকে বিধিনিষেধ (লকডাউন) আরোপ করে সরকার। পরে ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা আসে। অবশ্য ঈদকে সামনে রেখে সেই লকডাউনও শিথিল হতে থাকে। এখন কেবল গণপরিবহন ছাড়া প্রায় সবই চালু আছে।

Advertisement

এমইউ/এইচএ/এমকেএইচ