সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মুসল্লিদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার নজরুল ইসলাম দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
Advertisement
শনিবার (৮ মে) শাহবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) পুলিশের উপ-পরিদর্শক নিজামউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার রিমান্ড চলাকালীন তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় নজরুল স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করে পুলিশ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এর আগে বুধবার (৫ মে) নজরুলকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে শাহবাগ থানায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিকে সাতদিনের রিমান্ড নিতে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস তার দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
Advertisement
খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল, তিনটি সিম কার্ড ও সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এদিকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের জন্য নিবন্ধনের নামে প্রতারণার অপরাধে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মুহা. ইয়াকুব আলী জুলমাতি বাদী হয়ে গত সোমবার শাহবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, হজ মৌসুমকে কেন্দ্র করে একটি প্রতারক চক্র বিশেষ করে মসজিদের ইমাম ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সরকারিভাবে হজের জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন জানিয়ে ফোন করেন।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে নিবন্ধনের কাজ দ্রুত করতে সাড়ে ৭ হাজার টাকা পাঠানোর জন্য একটি বিকাশ বা নগদ নম্বর প্রেরণ করেন। টাকা প্রেরণ না করলে নিবন্ধন বাতিল হবে বলে জানান অপরাধীরা। এমনকি তারা নোয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্যের এপিএস পরিচয় দিয়েও প্রতারণা করেছেন।
Advertisement
মামলার অভিযোগ থেকে আরও জানা গেছে, প্রতারকরা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও সংসদ সদস্যদের ব্যক্তিগত সহকারী পরিচয় দিয়ে হজে যেতে ইচ্ছুকদের ফোন করছেন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে হজ গমনেচ্ছুদের কাছ থেকে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছিল।
জেএ/এমআরআর/এমএস